অনলাইন ডেস্ক : সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা থাকবে না বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বুধবার সংসদে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রফেসর ইমিরেটাস ড. আনিসুজ্জামান এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর তারা এ অভিনন্দন জানান।
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি সরকারি চাকরির নিয়োগে কোটা ব্যবস্থা না রাখার পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখার কথাও বলেছেন। এটা খুবই ভালো। প্রধানমন্ত্রী সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এ জন্য তাকে অভিনন্দন।
ড. আকবর আলি খান বলেন, এর আগে যত প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন হয়েছিল, তার প্রত্যেকটির প্রতিবেদনেই কোটা ব্যবস্থা সংকুচিত করার সুপারিশ ছিল। কিন্তু সাহস করে কোনো সরকারই তা বাস্তবায়নের উদ্যেগ নেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই প্রথম সরকারি চাকরিতে কোটা না রাখার ঘোষণা দিলেন। এ জন্য তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন। একই সঙ্গে যে তরুণেরা উদ্যোগ নিয়ে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের বিষয়কে সবার সামনে নিয়ে এসেছে, তাদেরকেও অভিনন্দন।
তিনি বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় জেলা কোটা রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই। দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারও বিস্তৃত হয়েছে। ফলে পুরো বাংলাদেশই এখন একত্রিত। যে উদ্দেশ্যে বহু বছর আগে জেলা কোটা রাখা হয়েছিল, তার প্রয়োজন এখন আর নেই। একই সঙ্গে নারী কোটা রাখারও যুক্তি আছে কি-না, তা নিয়েও সন্দেহ আছে। কারণ এখন নারীরাই বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় ভালো ফল করছে এবং মেধার ভিত্তিতেই সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্যতা রাখে।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সংস্কারকে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ড. খান বলেন, শুধু কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করলেই সরকারি চাকরিতে মেধাবীদের চাকরি পাওয়া নিশ্চিত হবে না। প্রকৃত মেধাবীদের চাকরি পাওয়া নিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে স্বাধীন করতে হবে, যেন তারা সব ধরনের প্রভাবমুক্ত থেকে নিয়োগ পরীক্ষা পরিচালনার সুযোগ পায়। একই সঙ্গে বর্তমান পরীক্ষা পদ্ধতিরও সংস্কার করতে হবে। এসব সংস্কার যদি হয়, তাহলে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের সুফল পাওয়া যাবে; না হলে নয়।
এই বিভাগের আরও খবর