,

it-shop.Com

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু

Spread the love

 

অনলাইন ডেস্ক : কলেজে একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম গতকাল থেকে শুরু হয়েছে। গতকাল বেলা ২টায় শুরু হয়েছে এই কার্যক্রম। আবেদন গ্রহণ চলবে ২৪ মে পর্যন্ত। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে।

গতকাল দুপুরে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে এক অনুুষ্ঠান শেষে বেলা ২টায় উন্মুক্ত করা হয় অনলাইন ও মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া। বিগত বছরের মতো এবারো অনলাইনের (www.xiclassadmission.gov.bd) পাশাপাশি টেলিটক মোবাইল থেকে এসএমএস পাঠিয়ে আবেদন করা যাচ্ছে।

ভর্তি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (কলেজ) ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ছায়েফ উল্লাহ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব শাহেদুল খবির চৌধুরী ও বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

‘একাদশ শ্রেণির ভর্তি নীতিমালা-২০১৮’ অনুযায়ী, আটটি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড থেকে ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে উত্তীর্ণরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে। আর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে উত্তীর্ণরা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, যারা ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছে তাদেরও ঘোষিত এই সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে। আর ২৫ থেকে ২৭ মে’র মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবেদন যাচাই-বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি করা হবে। পুনঃনিরীক্ষণে যাদের ফল পরিবর্তন হবে তারা ৫ থেকে ৬ জুন পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে।

১০ জুন প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে। প্রথম তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ১১ থেকে ১৮ জুন যে কলেজের তালিকায় নাম আসবে ওই কলেজেই যে শিক্ষার্থী ভর্তি হবে তা এসএমএসে নিশ্চিত করতে হবে। ২১ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ে এবং ২৫ জুন তৃতীয় পর্যায়ের ফল প্রকাশ করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীরা ২২-২৩ জুন সিলেকশন নিশ্চয়ন এবং তৃতীয় পর্যায়ে তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ২৬ জুন সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। ২৭ থেকে ৩০ জুন শিক্ষার্থী ভর্তি শেষে আগামী ১ জুলাই ক্লাস শুরু হবে।

অনলাইনে ১৫০ টাকা ফি জমা দিয়ে সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করা যাবে। প্রতি কলেজের জন্য ১২০ টাকা ফি দিয়ে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীর করা আবেদনের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে। বিভাগীয় এবং জেলা সদরের কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজের শতভাগ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

তবে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির পরে যদি বিশেষ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কোনো আবেদনকারী থাকে তাহলে মোট আসনের অতিরিক্ত ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ৩ শতাংশ বিভাগীয় ও জেলা সদরের বাইরের শিক্ষার্থী, ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্ত দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী এবং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সন্তান, ০.৫০ শতাংশ বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য এবং ০.৫০ শতাংশ প্রবাসীদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।

it-shop.Com

     এই বিভাগের আরও খবর