অনলাইন ডেস্ক : অনলাইনের কোনো কিছুই এখন আর বিশ্বাসযোগ্য থাকছে না। আগে ফটোশপের কারসাজিতে একজনের মাথা অন্যজনের দেহে বসিয়ে দিয়ে অনেককে বিপাকে ফেলা হয়েছিল। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় মানুষও সতর্ক হয়ে গেছে। কিন্তু ভিডিওর বিষয়টি এখনো অনেকেই বিশ্বাস করেন।
যদিও এবার ফটোশপের মতোই একেবারে নিখুঁতভাবে কারসাজি করা ভুয়া ভিডিও বের করা সম্ভব হচ্ছে। আর এ প্রযুক্তির নাম দেওয়া হয়েছে ডিপ ফেক।
সম্প্রতি বিখ্যাত কিছু অভিনেত্রীর পর্নো ভিডিও বের হয়েছে। যা দেখে ভক্তরা হতবাক হয়েছেন। বাস্তবে ভিডিওগুলো সত্যিকার না। এগুলো এক ধরনের ভুয়া পর্নো ভিডিও। একইভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরও ভুয়া ভিডিও নির্মাণের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
বিশেষ ধরনের এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে এই ভিডিওগুলো তৈরি করা হচ্ছে। একজনের মুখ আরেকজনের দেহে বসিয়ে তৈরি করা হচ্ছে পর্নো ভিডিও। এবং তা পরে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
অতীতে অবশ্য এরকম ছবি বা ভিডিও বানানো যেতো। হলিউডের বিখ্যাত কিছু চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু তা করতে হলে দরকার হতো একজন দক্ষ সিনেমা সম্পাদকের এবং খরচ হত কোটি কোটি টাকা। কিন্তু এখন এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে অনেক সহজ হয়ে গেল কাজটি।
গত বছর এমা ওয়াটসন, কেটি পেরি, টেইলর সুইফট ও স্কারলেট জোহানসনের ভিডিও স্ক্যান্ডাল ছড়িয়ে পড়ে। যদিও পরে জানা যায় এগুলো এই বিশেষ প্রযুক্তিরই কারসাজি।
অবস্থা দেখে এখন অনেকেই মন্তব্য করছেন, অনলাইনে কিংবা ভিডিওতে কোনো কিছুই আর বিশ্বাসযোগ্য নেই। এবার আর তাই কারো ভিডিও বের হলেও তা বিশ্বাস করবেন না!
এই বিভাগের আরও খবর