,

it-shop.Com

শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে এ শূন্যতা পূরণে কাজ করছে ইউনিসেফ

Spread the love

অনলাইন ডেস্ক : তাদের বর্তমান উদ্যোগগুলোর একটি হচ্ছে- মাদার্স@ওয়ার্ক প্রকল্প, যার আওতায় কর্মক্ষেত্রে ফিরে আসার পর শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টরে কর্মরত মায়েদের সহায়তা করা হয়।

ইউনিসেফ দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পুষ্টি উপদেষ্টা হ্যারিয়েট টরলেসি বলেন, ‘যেহেতু দুই বছর বা তার বেশি সময় ধরে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর অনেক উপকারিতা রয়েছে, আমরা এক্ষেত্রে সামনের পথ দেখানোর জন্য দক্ষিণ এশিয়ার নারীদের প্রশংসা করতে চাই। তবে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো দীর্ঘায়িত করতে এবং তাদের আর্থিক অবস্থা যাই হোক না কেন, শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য আমাদের এখনও তাদের উৎসাহিত করা ও সমর্থন দেয়া প্রয়োজন।’

সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, সাধারণত বিশ্বের সম্পদশালী পরিবারগুলোর শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানো অব্যাহত থাকে না। এক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় দরিদ্র পরিবারগুলোতে ২০-২৩ মাস বয়সী ৮১ শতাংশ শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো হয়। অন্যদিকে ধনী পরিবারগুলোতে এই হার মাত্র ৫৭ শতাংশ।

এই প্রবণতা বিশ্বব্যাপী দেখা যায়, যেখানে ৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো হয় না এবং বিশ্বের ধনী দেশগুলোর শিশুরাই এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত হয়।

ইউনিসেফের ভাষ্য- দীর্ঘ সময় ধরে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ; একজন মা যদি এক বছর তার সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান, তা হলে তার স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি ৬ শতাংশ কমে যায়। এ ছাড়া বুকের দুধ শিশুদের জীবন বাঁচায় এবং তাদের প্রাণঘাতী রোগব্যাধি থেকে রক্ষা করে। শিশুদের দুই বছর বা তার বেশি সময় ধরে বুকের দুধ খাওয়া উচিত। কারণ এটি শিশুর সুস্থ বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির উৎস প্রদান করে এবং শিশুর জীবনের দ্বিতীয় বছরে মৃত্যুর অর্ধেক প্রতিরোধ করতে পারে। এ ছাড়া এটি শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মাঝে বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষায় উচ্চ সাফল্যের দিকে ধাবিত করে।

it-shop.Com

     এই বিভাগের আরও খবর