,

it-shop.Com

আন্দোলনকারীদের যে ৫ দাবি

Spread the love

 

অনলাইন ডেস্ক: কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের’ ব্যানারে পরিচালিত হচ্ছে এ আন্দোলন।

সরকারি চাকরির ৫৬ শতাংশ বিভিন্ন কোটার প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত। কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে গত কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীরা। গত ফেব্রুয়ারি থেকে টানা আন্দোলন চললেও রোববার তা সহিংস রূপ নেয়।

আন্দোলনকারীরা মূলত পাঁচটি দাবিতে রাজপথে নেমেছেন। দাবিগুলো হল:

১. বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা

২. কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ না দেয়া

৩. চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহারের সুযোগ না দেয়া

৪. সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন কাট মার্কস ও বয়সসীমা নির্ধারণ করা

৫. কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধায় নিয়োগ প্রদান করা।

আহসানুল কবির নামে একজন আন্দোলনকারী সোমবার সকালে বলেন, পুরনো আমলের এই কোটা পদ্ধতি এখনও বিদ্যমান থাকার কারণে মেধাবীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করার সুযোগ খুবই কম। এই কোটা পদ্ধতি সংস্কার করা জরুরি। পৃথিবীর আর কোনও দেশে এতো পরিমাণ কোটা নেই।

তিনি বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা পিছপা হবো না। আমাদের দাবি যৌক্তিক। স্বাধীন দেশে এতো বৈষম্য থাকতে পারে না। যতো বাধাই আসুক আমরা রাজপথ ছাড়বো না।

এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বিপরীতে মানববন্ধন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগসহ কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ স্লোগানে রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদযাত্রা করে শাহবাগে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। দেশের সব জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের’ ব্যানারে পূর্বঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হয়।

রাত ৯টার দিকে শিক্ষার্থীরা সংঘবদ্ধ হয়ে টিএসসি ও চারুকলার সামনে অবস্থান নেন। পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে কয়েক দফা। সংঘর্ষে আহত অন্তত ৩৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ১১ পুলিশসহ আরও কয়েক শিক্ষার্থী বিএসএমএমইউ এবং বারডেমে চিকিৎসা নিয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে রোববার গভীর রাত পর্যন্ত। বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকায়। সোমবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসার কথা রয়েছে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের।

it-shop.Com

     এই বিভাগের আরও খবর