অনলাইন ডেস্ক :
স্ত্রী শামীমা আক্তারের সঙ্গে আপোষের শর্তে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় জামিনে বের হওয়ার পরই তাকে তালাক দিয়েছেন মডেল আসিফ। তালাকের কারণ হিসেবে স্ত্রীর অসৎ চরিত্র, বনিবনা হচ্ছে না এবং আরও কিছু বিষয় উল্লেখ করেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শামীমা আক্তার। তিনি জানান, ২ এপ্রিল তালাক দিয়েছেন আসিফ। আর সেই তালাকনামা ডাকযোগে শামীমার বাসায় পাঠানো হয়েছে ২৩ এপ্রিল।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে কানাডাপ্রবাসী শামীমা আক্তারের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে আসিফের পরিচয় হয়। এরপর ২০১৫ সালে ৭ আগস্ট দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর কানাডায় ফিরে যান শামীমা। এরপর থেকে আসিফ বিভিন্ন সময় শামীমার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা চাইতেন। স্বামীর দাবি বেশ কয়েকবার পূরণও করেছেন তিনি। কিন্তু ২০১৬ সালের নভেম্বর দেশে এলে শামীমাকে টাকার জন্য মারধর করে আসিফ। সে সময় শামীমা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এরপর ২০১৭ সালের ৯ জানুয়ারি তিনি কানাডায় ফিরে যান। সেখানে গত আগস্টে তার প্রথম সন্তান আজওয়া রহমানের জন্ম হয়। তখন আসিফ তার স্ত্রীর কাছে বড় অঙ্কের টাকা চায়। সেই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দিলে শামীমা বাসা ছেড়ে চলে যান। গত ৬ মার্চ স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের মামলা করেন।
২০১৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর কানাডা প্রবাসী শামীমা আক্তার অর্নির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন কাজী আসিফ। কাজী আসিফ রহমান বেশকিছু বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে সবার নজর কাড়েন। এর মধ্যেই তার সঙ্গে শামীমার সঙ্গে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি স্ত্রী শামীমা আক্তারের কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন আসিফ। ওই ঘটনায় চলতি বছরের ৬ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ শামীমা বাদী হয়ে মামলা করেন।গত ২৩ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে আসিফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মালয়েশিয়া থেকে নাটকের শুটিং শেষে দেশে ফিরছিলেন তিনি।পরদিন সকালে আদালত দুই পক্ষের শুনানি শেষে আসিফকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ২৫ এপ্রিল স্ত্রীকে আর নির্যাতন করবেন না এবং সন্তানের ভরণপোষণ করবেন—এই শর্তে তাঁকে জামিন দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক শফিউল আজম।
এই বিভাগের আরও খবর