,

it-shop.Com

ধনবাড়ীতে ছাত্রীকে একাধিকবার গণধর্ষণের শাস্তি জুতার বাড়ি ও ৫০ হাজার টাকা 

Spread the love

 

অনলাইন ডেস্ক : টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে গণধর্ষণের শাস্তি পেয়েছে ধর্ষকরা। তাদের গ্রাম্য শালিসে জুতার বাড়ি দেয়া হয়। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। যদিও জরিমানার ৫০ হাজার টাকা ধর্ষিতার পরিবারকে দিয়ে গর্ভপাত ঘটানোর নির্দেশ দেয়া হয়। বাকি ৫০ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে। এ শালিস নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় চলছে এলাকায়।
ধনবাড়ী কলেজিয়েট মডেল স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে একাধিকবার গণধর্ষণ করলে সে অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে। ধনবাড়ী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের রূপশান্তি পশ্চিমপাড়ার এ ঘটনায় কাউন্সিলর জাকারিয়া বকল, পল্লী চিকিৎসক মামুন, ধর্ষক আলামিনের বাবা মাহতাবসহ স্থানীয় কয়েকজন মাতাব্বর শালিস বৈঠকের আয়োজন করেন। শালিসে ধর্ষক রফিকুল, জিয়াউল হক ও আল আমিনদের কয়েক ঘা জুতার বাড়ি দেয়া হয়। পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রূপশান্তি এলাকার সোহরাব আলীর ছেলে ছাগল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম (৩০) প্রতিবেশি হতদরিদ্র অসহায় এক পরিবারের স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে (১৩) প্রেমের ফাঁদে ফেলে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। প্রতিবারই আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলার নাটক করে তার দলের অন্য সদস্যদের দিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। গত সোমবার রাতে এ নিয়ে শালিসী বৈঠকে ধর্ষকদের জুতার আঘাত, এক লাখ টাকা জরিমানা এবং মেয়েটির গর্ভপাত ঘটিয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। জরিমানার ৫০ হাজার টাকা নির্যাতিতার পরিবারের হাতে দিয়ে মেয়েটিকে গর্ভপাত ঘটানোর নির্দেশ দিয়ে এবং ঘটনাটি চেপে যেতেও চাপ দেয়া হয় পরিবারটিকে। ধনবাড়ী পৌরসভার মেয়র খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে বাদী-বিবাদী কেউ আমাকে এখন পর্যন্ত জানায়নি।
ধনবাড়ী থানার ওসি মজিবর রহমান জানান, ঘটনার কথা কিছু শুনেছেন। কিন্তু কোন লিখিত অভিযোগ পাননি বলে জানিয়েছেন। তবে লিখিত পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ঘটনাটির খোঁজ নেয়ার জন্য থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই ফারুকুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলর জাকারিয়া বকল ঘটনা মিমাংশার কথা অস্বীকার করেছেন।

it-shop.Com

     এই বিভাগের আরও খবর