বৃহস্পতিবার দুপুরে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে চ্যান্সেলরের প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। করোনার সময় ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়াতে যার যার ঘরে থেকেছি কিন্তু পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থেকেছি। পড়াশোনা হয়েছে, প্রশাসনিক কার্যক্রম চলেছে। যার ফলে আমরা করোনা মোকাবিলায় বিশ্বে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছি।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার পাশাপাশি গবেষণার মনোযোগ দেওয়া খুব জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাব একটিভেটিস, খেলাধুলা, সংস্কৃতিতে অবদান রাখতে হবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স ক্লাব রয়েছে সেগুলোর প্রতি আরো গুরুত্ব দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু ডিগ্রি প্রদান করলেই চলবে না। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করে দিতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী ড. দিপু মনির সভাপতিত্বে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন- বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান খান, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াস সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র, মাগুরা- ১ আসনের এমপি সাইফুজ্জামান শেখর।
সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষার্থীকে ‘চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল’ এবং নয়জন শিক্ষার্থীকে ভাইস-চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল’ দেওয়া হয়। সমাবর্তন সভাপতি ও শিক্ষামন্ত্রী ড. দিপু মনি এমপি তাদেরকে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন।
এবারের সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি অনুষদভুক্ত দশটি বিভাগের এক হাজার ৫২৭ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। বাণিজ্য ও আইন অনুষদের ব্যবসায় প্রশাসন ও আইন বিভাগ। বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেট্রোনিক প্রকৌশল বিভাগ, ফার্মেসী বিভাগ এবং পাবলিক হেলথ্ বিভাগ। এছাড়াও কলা ও সামজিক বিজ্ঞান অনুষদের ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি এবং সাংবাদিকতা বিভাগ।