দর্পণ ডেস্ক : জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সোমবার দায়িত্ব নিয়েছেন ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতা ফুমিও কিশিদা (৬৪)। তার নেতৃত্বে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতি সামনে এগিয়ে যাবে। গত সপ্তাহে দলীয় নির্বাচনে তিনি নেতা নির্বাচিত হন। এতে নিশ্চিত হয়ে যায় যে, পার্লামেন্টে ভোটের মাধ্যমে তিনিই হবেন শততম প্রধানমন্ত্রী। তিনি যে প্রধানমন্ত্রী হবেন এটা নিশ্চিত ছিল। তবু আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে পার্লামেন্টে তাকে অনুমোদন দেয়া হয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন। এরই মধ্যে তিনি ঘোষণা করেছেন নতুন মন্ত্রীপরিষদও। এর সদস্য সংখ্যা ২০। তবে এর মধ্যে ১৩ জনের এর আগে মন্ত্রণালয় চালানোর কোনো অভিজ্ঞতা নেই। মন্ত্রীপরিষদে তিনজন আছেন নারী। মন্ত্রীদের গড় বয়স ৬১ বছর। এর মধ্য দিয়ে কিশিদা উত্তরাধিকার হিসেবে যে জাপানের দায়িত্ব পেলেন তা করোনা সংক্রমণে মারাত্মকভাবে ভুগছে, অর্থনীতি স্থবির, দ্রুত বাড়ছে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা, চীনের সঙ্গে ক্রমশ বাড়ছে উত্তেজনা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সরকারে ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ফুমিও কিশিদা। সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগার স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি। গত মাসে সুগা ঘোষণা করেন, দলীয় নির্বাচনে তিনি আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। করোনা ভাইরাস মহামারি মোকাবিলা নিয়ে তার জনসমর্থন কমে গিয়েছিল বলে মনে করা হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ফুমিও কিশিদাকে দেখা হয় জনমত গঠনকারী হিসেবে। স্থিতিশীলতার পক্ষে একজন প্রতিনিধি হিসেবে। তার প্রতি জনগণের আছে ব্যাপক সমর্থন। তবে আগামী নির্বাচন হবে তার জন্য প্রথম বড় পরীক্ষা। সেখানে করোনা মহামারি মোকাবিলা নিয়ে জনগণের মধ্যে যে সমালোচনা আছে, তার মুখোমুখি হবেন। রাজনৈতিক ঝুঁকি ও ব্যবসা কনসালটিং বিষয়ক প্রতিষ্ঠান এশিয়া স্ট্র্যাটেজির প্রেসিডেন্ট কিথ হেনরি বলেন, জাপানের মানুষ স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা চায়। আমি জানি তিনি তা দিতে সক্ষম হবেন।