অনলাইন ডেস্ক :
২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আয়কর কর্তৃপক্ষ কোন ব্যক্তির নিকট তথ্য চাওয়ার পর ওই ব্যক্তি তথ্য গোপন করলে বা ইচ্ছাকৃতভাবে আয়কর কর্তৃপক্ষকে ভুল তথ্য দিলে তার জন্য শাস্তির বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন।

প্রস্তাবিত বাজেটে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বৈদেশিক অনুদান থেকে ৪ হাজার ৫১ কোটি পাওয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এছাড়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ১লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা।

তিনি বলেন, যারা কর ফাঁকি দেন তাদের জন্য আমরা বেশ শক্ত পদক্ষেপ নেব। এ লক্ষ্য তিনি আইনী সংস্কারের প্রস্তাব করেন। কর আইনের বিভিন্ন বিধান পরিপালনের ব্যর্থতায় আরোপযোগ্য জরিমানার আওতা সম্প্রসারণ ও জরিমানার পরিমাণ বৃদ্ধি করে যৌক্তিক পর্যায়ে উন্নীত করার প্রস্তাব আনা হয়েছে।

এ ছাড়া কোন করদাতা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উৎস করের রিটার্ন দাখিল না করলে অথবা বেতনভোগি কর্মীদের বেতনভাতার তথ্য বা রিটার্ন দাখিল বিষয়ক তথ্য কর বিভাগের নিকট দাখিল না করলে সে করদাতার আয়কর রিটার্নকে অডিটের আওতায় আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।