বিকাশের টাকা ভুল নম্বরে চলে গেলে করণীয়

আর্থিক লেনদেনের অন্যতম জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হচ্ছে বিকাশ। শুধুমাত্র প্রয়োজন মোবাইল নম্বর দিয়েই এই লেনদেন করা যায়। তবে অসাবধানতাবশত অনেকেই কাঙ্ক্ষিত নম্বরে টাকা না পাঠিয়ে ভুল নম্বরে পাঠান। এভাবে অপরিচিত নম্বরে টাকা পাঠিয়ে বিপদে পড়েন অথবা হয়রানি হন। তবে ভুলে অন্য নম্বরে টাকা চলে গেলে ফেরত পাওয়ার উপায় আছে। দ্রুত সময়ে কাজটি করতে পারলে নিজের টাকা নিজের কাছে ফেরত আনা যায়।

যা করতে হবে-

টাকা উঠানোর আগে, জিডি কপি এবং মেসেজসহ বিকাশ অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। অফিস থেকে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা অস্থায়ীভাবে ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেবেন এবং ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলবেন। প্রাপক টাকা ফেরত দিতে চাইলে অফিস থেকেই টাকা স্থানান্তর করে দেবে। যদি তিনি নিজের টাকা দাবী করেন, তাহলে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে তাকে অফিসে এসে অ্যাকাউন্ট ঠিক করে নিতে হবে। পরবর্তী ৬ মাসে যদি তিনি না আসেন, তাহলে প্রেরকের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে। পরবর্তী ৬ মাসে অ্যাকাউন্ট ঠিক না করলে অ্যাকাউন্টটি অটো ডিজেবল হয়ে যাবে চিরতরে এবং প্রেরক আদালতের সাহায্য নিয়ে টাকা আনতে পারবেন। এই পদ্ধতি শুধু বিকাশেই নয়, রকেট এবং নগদের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।

বিকাশের ওয়েবসাইটের সতর্কবার্তায় বলা আছে, ‘বিকাশ একাউন্ট থেকে যেকোনো ভুল লেনদেনের দায়িত্ব গ্রাহকের/প্রেরকের (যিনি টাকা পাঠাচ্ছেন)। কারণ লেনদেন করার সময় গ্রাহক নিজেই প্রাপকের মোবাইল নাম্বার, টাকার পরিমাণ ও পিন (PIN) দেয়ার মাধ্যমে টাকা পাঠান। পিন নম্বর দেয়ার আগে গ্রাহক তার মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে নিজের দেয়া তথ্য (প্রাপকের মোবাইল নম্বর ও টাকার পরিমাণ) দেখতে পান যাতে টাকা পাঠানোর আগে প্রেরক তথ্যগুলো যাচাই করতে পারেন এবং কোনো ভুল হয়ে থাকলে টাকা পাঠানোর নির্দেশ বাতিলও করতে পারেন। তাই গ্রাহক এর পরেও ভুল একাউন্টে টাকা পাঠালে, গ্রহণকারীর অনুমতি বা আদালতের নির্দেশনা ছাড়া পাঠানো টাকা প্রেরককে ফেরত দেয়ার এখতিয়ার বিকাশ-এর নেই।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত