দর্পণ ডেস্ক : ট্রেনে-বাসে জানলার পাশের সিটে বসা নিয়ে তর্ক বা ঝগড়া অনেকের কাছে চেনা ছবি। কিন্তু তা বলে বিমানের জানালার সার্টার খোলা থাকবে নাকি বন্ধ তাই নিয়ে ঝগড়া করতে দেখেছেন কাউকে! এবার এমনটাই হয়েছে। আর বাচ্চাদের মতো সেই ঝগড়ায় শামিল হয়েছেন দুই প্রাপ্তবয়স্ক।

সাধারণত দেখা যায় যিনি প্লেনের উইন্ডো সিটে বসেন তিনিই ঠিক করেন তার পাশে জানালার সার্টার খোলা থাকবে নাকি বন্ধ। তবে এক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে পিছনের সিট থেকে ক্রমাগত এক যুবক তার সামনে উইন্ডো সিটের পাশে জানলার শাটার বন্ধ করে দিচ্ছেন। ওই যুবকের দাবি শাটার বন্ধই রাখতে। নইলে নাকি চোখে আলো পড়ে ভয়ানক সমস্যা হচ্ছে তার। এমন উদ্ভট আবদার মেনে নিতেই মোটেও রাজি নন ওই উইন্ডো সিটের আসল যাত্রী। সাফ জানিয়ে দেন তিনি যখন বসেছেন তখন জানলার সার্টার খোলাই থাকবে। ব্যাস এরপরেই শুরু হয় ঝগড়া। কখনও সুর চড়িয়ে কখনও বা স্যার বলে ডেকে কাজ হাসিল করে নিতে চান পিছনের যাত্রী। তবে লাভ হয়নি কোনঅ কিছুতেই। কারণ যতবার পিছনের সিটের যাত্রী সার্টার নামিয়ে দিয়েছেন ঠিক ততবারই জানলার সার্টার খুলে দিয়েছেন আর এক যাত্রী।

একসময় দেখা যায় পিছনে সিটের যাত্রীকে হাত দিয়ে একপ্রকার ঠেলে সরিয়েই দেন সামনের সিটের যাত্রী। এতেই বেজায় চটে যান পিছনের সিটে বসা যুবক। একটু জোরেই তিনি বলে ওঠেন, “এসব করবেন না। আমায় হাত দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার অধিকার আপনার নেই। এমন আচরণ অত্যন্ত অপমানজনক।” দমে যেতে রাজি নন সামনের যাত্রীও। পিছনের যুবকের পাল্টা জবাবে তিনিও বলে ওঠেন, “আপনি চুপচাপ বসে থাকুন। জানলার শাটার খোলাই থাকবে।” ইতিমধ্যেই চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে হাজির হন এক সুন্দরী এয়ার হসটেস। কিন্তু তাঁর কোনও কথাতেই কান দেননি এই দুই যুবক। উল্টে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া চালিয়ে যেতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য যুদ্ধ যেতেন উইন্ডো সিটে বসা যুবক। শাটার খুলে হাত দিয়ে জানলা ধরে বসে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। যাতে কোনঅভাবেই পিছনের যাত্রী আর শাটার নামিয়ে দিতে না পারেন।

সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হয়েছে এমনই এক ভিডিও। প্রাথমিক ভাবে দুই যুবকের ঝগড়া দেখে হেসে গড়িয়েছেন অনেকে। মজাও পেয়েছিলেন নেটিজেনদের একাংশ। তবে দুই প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের এ হেন বাচ্চাদের মতো আচরণ দেখে হতাশ অনেকেই। কেউ বলছেন, “প্লেনের বাকি যাত্রীদের যে এতে বিরক্তি লাগতে পারে সেটা একবারও ভাবেননি এই দু’জন।” কেউবা বলছেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করার জন্যই এই ভিডিও বানানো হয়েছে। ওসব ঝগড়া আসলে সত্যিকারের নয়।”