দর্পণ ডেস্ক : কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতে বৃহস্পতিবার সকালে বৈঠকে বসে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে প্রবীণ কংগ্রেস নেতারা আলোচনা করেন।

বুধবার জানা গিয়েছিল, বৃহস্পতিবারই শিবসেনাকে সমর্থন করা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কংগ্রেস। বাস্তবে এদিনও সোনিয়ার দল সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের শেষে প্রবীণ নেতা কে সি বেণুগোপাল বলেন, আমার মনে হয়, শুক্রবার মহারাষ্ট্র নিয়ে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।

বুধবার ‘মারাঠা স্ট্রংম্যান’ শারদ পাওয়ারের বাড়িতে কংগ্রেস প্রতিনিধিদের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক হয়। তার পরে কংগ্রেস নেতারা বলেন, সম্ভাব্য জোটের কয়েকটি বিষয় নিয়ে এখনও আলোচনা করতে হবে। সাংবাদিক বৈঠকে এনসিপি নেতা নবাব মালিক বলেন, “শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে মহারাষ্ট্রে কোনও সরকার গঠিত হতে পারে না।” সাংবাদিক বৈঠকের সময় নবাব মালিকের পাশে ছিলেন কংগ্রেসের পৃথ্বীরাজ চৌহান। তিনি শুধু বলেন, “আলোচনা চলবে। চূড়ান্ত আলোচনার জন্য শিবসেনা নেতারা যাবেন দিল্লিতে।”

একটি সূত্রে খবর, তিন দল একটি অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি স্থির করেছে। কিন্তু কীভাবে ক্ষমতা ভাগাভাগি করা হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।

বুধবারই শরদ পওয়ার দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন। আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, মহারাষ্ট্রে কৃষকদের দুর্দশা নিয়ে আলোচনার জন্যই পওয়ার প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, মোদীর সঙ্গে বৈঠক করার পিছনে পওয়ারের আর একটি উদ্দেশ্য ছিল। তিনি কংগ্রেসকে বার্তা দিতে চেয়েছিলেন, তারা যদি মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে বেশি টালবাহানা করে, তাহলে সুযোগ ফসকে যেতে পারে। একটি সূত্রে জানা যায়, বিজেপি চেষ্টা করছে যাতে এনসিপি-র সমর্থন পাওয়া যায়। শিবসেনার থেকে মাত্র দু’টি আসন কম পেয়েছে এনসিপি। তাদের সমর্থন পেলে বিজেপি স্বচ্ছন্দে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে পারবে।