দর্পণ ডেস্ক : চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ১৫ থেকে ২৮ বছর বয়সী ওই নারী ও কিশোরীদেরকে নাইজেরিয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে লাগোসে আনা হয়। এরপর তাদেরকে বদ্ধ কক্ষে বন্দী রেখে গর্ভধারণে বাধ্য করা হয়।
নাইজেরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় এসব ‘বেবি ফ্যাক্টরির’ অস্তিত্ব ওপেন সিক্রেট। স্থানীয়দের অনেকেই বিষয়টি জানে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
দেশটির সবচেয়ে বড় শহর লাগোস থেকে ১৯ নারী ও কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। যেখানে নারী ও কিশোরীদের অপহরণের পর গর্ভধারণে বাধ্য করা হয়, পরে সন্তান ভূমিষ্ঠের পর ওই নবজাতকদের বেচে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও চারটি শিশুকেও সেখানে পাওয়া যায়।
লাগোস পুলিশের মুখপাত্র বালা এলকানা বলেন, সন্দেহভাজন চক্রটি জোরপূর্বক গর্ভধারণের জন্য অধিকাংশ তরুণীকে অপহরণ করে থাকে। শিশুজন্মের পর চড়াদামে বিক্রি করে দেওয়া হয়। লাগোসে গৃহকর্মীর চাকরির কথা বলে কিশোরীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ছেলে শিশুরা পাঁচ লাখ ও মেয়ে শিশুরা তিন লাখ স্থানীয় মুদ্রায় বিক্রি হয়। বাংলাদেশি টাকায় ছেলে শিশুদের প্রায় দেড় লাখ ও মেয়ে শিশুদের আশি হাজার টাকার মতো দাম ওঠে বলে জানান পুলিশের ওই মুখপাত্র।