দর্পণ ডেস্ক : পুজোর মুখে আজ, তৃতীয়াতে কলকাতায় পা রাখবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। বঙ্গে এনআরসি লাগু করা নিয়ে যখন উত্তাল রাজ্য রাজনীতি, ঠিক সেই প্রেক্ষাপটে শাহর কলকাতা সফর রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। আজ, নেতাজি ইন্ডোরে একটি সভা করার কথা শাহের। সেই সভাতেই রাজ্যে এনআরসি প্রয়োগের পক্ষে কথা বলতে শোনা যাবে তাঁকে।

উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় পাপড়ি মেলেছে পদ্ম। ১৮টি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি। পদ্মফুল ফোটার পর এই প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গে আসছেন অমিত শাহ।

এদিকে, দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজই শাহর হাত থেকে পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নেবেন তৃণমূলের সব্যসাচী দত্ত। একদিকে, শাহর উপস্থিতিতে সব্যসাচীর দলবদল, অন্যদিকে, এনআরসি তরজার মধ্যে এদিনের সভা থেকে শাহর ভাষণ, সবমিলিয়ে পুজোর মুখে শাহের কলকাতা সফর ঘিরে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি।

নেতাজি ইন্ডোরে সভার পরে এদিন দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকও করার কথা মোদী সেনাপতির। দলীয় কাজ সেরেই এই প্রথমবার কলকাতায় দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করতে সল্টলেক যাবেন শাহ। সন্ধ্যায় সল্টলেক বি জে ব্লক পুজোর উদ্বোধন করবেন অমিত শাহ। উনিশের সাফল্যের পর একুশের লড়াইয়ের আগে পুজো উদ্বোধনে শাহর উপস্থিতি রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

তবে, শাহর পুজো উদ্বোধন ঘিরে উদ্যোক্তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। সল্টলেক বি জে ব্লক পুজো কমিটির সম্পাদকের দাবি, অমিত শাহ পুজো উদ্বোধনে করবেন তা তিনি জানেন না। অন্যদিকে, পুজো কমিটির সভাপতি জানান, সবাইকে জানিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার পুজোর উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহই। পুজোয় রাজনীতির প্রবেশ ঘিরেই দ্বন্দ্ব চরমে। কর্তাদের একাংশ চান না পুজো ঘিরে রাজনীতি হোক।

সল্টলেক বিজে ব্লক পুজো কমিটির সম্পাদক অনিন্দ্য সিনহা রায় বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুজো উদ্বোধন করতে আসছেন তা আমার ও কমিটির অন্যন্য সদস্যদের জানা নেই। হতে পারে, সভাপতি অমিত শাহকে আমন্ত্রণ করেছেন। কিন্তু, তা আমাদের জানা নেই। এই ধরণের ঘটনায় আমরা অপমানিত। আমাদের এবিষয়ে অন্ধকারে রাখাটা মারাত্মক অন্যায় কাজ।” এরপর তিনি জানান, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পুজোর উদ্বোধনে এলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু, বিজেপি সভাপতি হয়ে এলে সমস্যা রয়েছে। কারণ, আমরা চাইছি না এই পুজোয় কোনও রাজনীতির রং লাগে যাক।”