দর্পণ ডেস্ক : ‘বাংলায় নারীদের সব সময় সম্মান করা হয়। এবার সময় এসেছে প্রতিহিংসাকে বন্ধ করার। আমি হাতজোড় করে আপনাদের অনুরোধ করছি এসব বন্ধ করতে।’ অভিনয় থেকে রাজনীতিতে আসা নুসরাত তার কেন্দ্র বসিরহাটের এক তৃণমূল কর্মীর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে দেখতে কলকাতার এক হাসপাতালে এসে এ কথা বলেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন সাংসদ নুসরাত জাহান বাংলায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধের আবেদন জানালেন।
নুসরাত যাকে দেখতে এসেছিলেন সেই নারীর নাম ইলা মণ্ডল। তার স্বামী গোপাল মণ্ডল তৃণমূল কর্মী। উত্তর ২৪ পরগণার রাজবাড়ি গ্রামে তাদের বাড়ি। গত মাসে এখানে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল।
শনিবার গোপালের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের গণ্ডগোল হয়। গণ্ডগোলের সূত্রপাত বেড়া দেওয়া নিয়ে। গোপালের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের অশান্তির পরের দিন, রবিবার বিজেপি কর্মীরা আবার তাদের বাড়ি আসেন। কিন্তু তখন গোপাল বাড়ি ছিলেন না। সেই সময় সন্তানসম্ভবা ইলা বেড়াটি বাঁধার কাজ করছিলেন। অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা ওই মহিলার পেটে লাথি মারে। যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা ছ’মাসের ওই অন্তঃসত্ত্বাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পেটে যন্ত্রণার পাশাপাশি তার শ্বাসকষ্টও শুরু হয়ে গিয়েছিল। তবে এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে নুসরত জানিয়েছেন।
নুসরাত জানান, রাজ্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার আগুন জ্বলতে তৃণমূল সরকার দাঁড়িয়ে থাকবে না। তিনি বলেন, ‘‘হিংসার ঘটনায় যেই যুক্ত থাকবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি করব আমরা।”
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির কর্মীদের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যের ৪২ আসনের লোকসভায় ১৮টি আসন পায় গেরুয়া শিবির। শাসক তৃণমূল পায় মাত্র চারটি বেশি— ২২টি। অথচ ২০১৪ নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছিল ৩৪টি আসন। সেটাই কমে ২২-এ দাঁড়িয়েছে। এদিকে বিজেপি ২ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৮।