দর্পণ ডেস্ক : প্রবল বৃষ্টিতে বাঁধ ভেঙে গেল মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি জেলায়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় ওই বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে বন্যায় ভেসে গেল নিকটবর্তী অ্যাকলে, রিক্তোলি, ওভালি, কালকাভনে এবং নন্দিভাসেসহ সাতটি গ্রাম। ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ ১৮ জন। ১২টি বাড়ি ও ২০টি গাড়ি ভেসে গিয়েছে বন্যার তোড়ে।
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস সূত্রে জানা যাচ্ছে, উনিশ বছরের পুরনো তিওয়ারে বাঁধে আগেই ফাটল দেখা গিয়েছিল। স্থানীয়দের দাবি, জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানালেও বাঁধ মেরামতের কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মুম্বই থেকে ২৭৫ কিমি দূরে অবস্থিত এই গ্রামে পৌঁছেছে জাতীয় বিপর্যয় প্রতিরক্ষা বাহিনী। তারা তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। তাদের সঙ্গে প্রশাসনিক কর্মী, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীরাও রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, গত ১২ ঘণ্টায় এই শহরে অপ্রত্যাশিত ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গত এক দশকে সর্বাধিক। বর্তমান নিকাশি ব্যবস্থায় পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সমস্যার হয়ে যাচ্ছে প্রবল বৃষ্টির কারণে। বিকেল থেকে বৃষ্টি আরও বেড়েছে।
মঙ্গলবার সকালের প্রবল বৃষ্টিতে ২০-রও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। মুম্বই পূর্ব মালাডে একটি পাঁচিল ভেঙে পড়ে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটক দেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে রয়েছে ১২ বছরের এক বালিকার দেহও। মৃত্যুর ১৪ ঘণ্টা পরে তার দেহটি উদ্ধার করা সম্ভব হল। থানের কল্যাণ অঞ্চলেও একটি দুর্ঘটনাতেও কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী নিহতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
সোমবার রাতে মুম্বই বিমানবন্দরে অবতরণের সময় পিছলে যায় স্পাইসজেটের একটি বিমান। রানওয়েতে ধাক্কা মারে সেটি। ১৬৭ জন যাত্রী ছিলেন বিমানটিতে। তবে কেউ আহত হননি।
রেললাইনে জল জমার কারণে বহু দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল বাতিল হয়েছে। লোকাল ট্রেন চলাচলও ব্যাহত হয়েছে।
এদিকে উত্তর মুম্বইতে একটি এসইউভি গাড়ি দুর্ঘটনায় দু’জন মারা যান।
আবহাওয়া দফতর ৪ ও ৫ জুলাই প্রবল বর্ষণের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে থানে ও পালঘরে। ৩ থেকে ৫ জুলাইয়ের মধ্যে বন্যাবিপর্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মুম্বইয়ের।