প্রায় ২৫ বছর আগে পাবনার ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণ ও হামলা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ২৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১২ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্তরা সবাই বিএনপির নেতাকর্মী। ৩ জুলাই বুধবার দুপুরে পাবনার অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুস্তুম আলী এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় ৫২ আসামীদের মধ্যে মারা গেছেন ৫ ও পলাতক রয়েছেন ১৫ জন।
গত সামবার দুপুরে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শোনার পর বিচারক আজ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। এ মামলার আসামিরা হচ্ছে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
জানা গেছে, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্তরাঞ্চলে দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহনের জন্য ট্রেনে করে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। ট্রেনটি পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে প্রবেশের সময় ট্রেনবহরকে লক্ষ্য করে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা অতর্কিত গুলি, বোমাবর্ষণ ও হামলা চালায়। ওই সময় পুলিশ স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে গেলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করেও বোমা নিক্ষেপ করে। বোমার আঘাতে তৎকালীন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনসহ পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী রেলওয়ে পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে মামলা করে। পরে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।
দীর্ঘ তদন্তে শেষে এ মামলায় ৫২ জনকে আসামি করে আদালতে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২৪ বছর ৯ মাস ৯ দিন পর আগামী বুধবার এ মামলার রায় হতে যাচ্ছে। এ মামলার আসামির মধ্যে ৫জন মারা যায়। গত রোববার দুপুরে এ মামলার ৩০ জন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক রুস্তম আলী তাঁদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠান। বাকি আসামিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।