দর্পণ ডেস্ক : ভেনিজুয়েলার তথ্যমন্ত্রী জর্জ রডরিগেজ বলেছেন, দেশটির সেনাবাহিনী মুষ্টিমেয় কিছু ‘বিশ্বাসঘাতক সৈন্য’কে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। এসব বিশ্বাসঘাতক সৈন্য প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো’র সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

রডরিগেজ মঙ্গলবার এক টুইটার বার্তায় বলেন, রাজধানী কারাকাসের ‘আলতামিরা’ সড়কে অবস্থান গ্রহণকারী একটি ছোট সেনাদলকে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করছে সেনাবাহিনী।

(একটি ছোট সেনাদলকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন গুয়াইদো)

তিনি এমন সময় একথা জানালেন যখন ভেনিজুয়েলার বিরোধী নেতা ও স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুয়াইদো দাবি করেছেন, দেশের সেনাবাহিনী তার সঙ্গে রয়েছে। তিনি মাদুরো সরকারকে উৎখাতের জন্য জনগণকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তাকে মঙ্গলবার কারাকাসের লা কারলোটা বিমান ঘাঁটির সামনে সামরিক পোশাক পরা প্রায় ৭০ জন যুবক পরিবেষ্টিত অবস্থায় বক্তৃতা দিতে দেখা গেছে। তবে এসব যুবক সেনাবাহিনীর দলছুট সদস্য কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তবে তথ্যমন্ত্রী রডরিগেজ বিরোধী নেতা গুয়াইদো’র মার্কিন-সমর্থিত অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়ার হুমকি দিয়ে বলেছেন, ভেনিজুয়েলার জনগণ মার্কিন ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সম্পূর্ণ সচেতন রয়েছে।

এদিকে ভেনিজুয়েলার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির প্যাদরিনো বলেছেন, দেশের সেনাবাহিনী প্রেসিডেন্ট মাদুরো’র বৈধ সরকারকে রক্ষা করার জন্য পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। সারাদেশের সবগুলো সেনানিবাসের সামরিক ইউনিটগুলো মাদুরো সরকারের আনুগত্য মেনে নিয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।

গত জানুয়ারি মাসে আমেরিকার পূর্ণ সমর্থন নিয়ে গুয়াইদো এক জনসভায় নিজেকে ভেনিজুয়েলার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন। তার এ ঘোষণার পর দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চরম আকার ধারণ করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মাদুরো সরকারকে উৎখাতের জন্য ভেনিজুয়েলার ওপর অর্থনৈতিক চাপ জোরদার করেন এবং একাধিকবার দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি দেন। তবে রাশিয়া ভেনিজুয়েলায় যেকোনো ধরনের বিদেশি হস্তক্ষেপের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রেখেছে।