দর্পণ ডেস্ক : ইয়েমেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ইরান হস্তক্ষেপ করছে বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও যে অভিযোগ করেছেন তাকে বাস্তবতা ধামাচাপা দেয়ার ব্যর্থ প্রয়াস বলে প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইয়্যেদ আব্বাস মুসাভি বলেছেন, ইয়েমেনে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত যে ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞ চালাচ্ছে তা থেকে বিশ্ব জনমতকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চায় আমেরিকা।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সম্প্রতি অভিযোগ করেন, ইয়েমেনের আল-হুদায়দা বন্দরে যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত স্টকহোম চুক্তি বাস্তবায়ন করতে দিচ্ছে না ইরান। তার এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে মুসাভি বলেন, ইয়েমেনের জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকার জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে স্টকহোম চুক্তি বাস্তবায়নে নিজের প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেছে। কিন্তু সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন আগ্রাসী জোট ওই চুক্তি বাস্তবায়নের পথে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র স্টকহোম চুক্তি স্বাক্ষরে তার দেশের ইতিবাচক ভূমিকার কথা স্মরণ করে বলেন, সৌদি ও আরব আমিরাতের অপরাধযজ্ঞের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে মার্কিন সরকারের উচিত অন্য দেশগুলোর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ না তুলে তার মিত্রদেরকে স্টকহোম চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা থেকে বিরত রাখা।
ইয়েমেনে সংঘর্ষরত পক্ষগুলোকে নিয়ে গত ডিসেম্বরে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বৈঠকে বসেন জাতিসংঘের ইয়েমেন বিষয়ক বিশেষ দূত মার্টিন গ্রিফিথস। ওই বৈঠকে ইয়েমেনের আল-হুদায়দা বন্দরে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করতে সম্মত হয় সংঘর্ষরত পক্ষগুলো।ইয়েমেন যুদ্ধের সমাপ্তির লক্ষ্যে এখন পর্যন্ত এ ধরনের বেশ কয়েকটি উদ্যোগ সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাশকতামূলক তৎপরতার কারণে ব্যর্থ হয়েছে।
২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আরো কয়েকটি দেশ মার্কিন সমর্থন নিয়ে ইয়েমেনের ওপর আগ্রাসন শুরু করে। সেইসঙ্গে দেশটির ওপর জল, স্থল ও আকাশপথে মারাত্মক অবরোধ আরোপ করা হয়। ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত প্রায় ১৬ হাজার মানুষ নিহত এবং লাখ লাখ মানুষ শরণার্থীতে পরিণত হয়েছে।