দর্পণ ডেস্ক : আজ (শুক্রবার) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ব্রুনেই সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অবসর নেয়ার পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে কে আসবেন সেটা দলই সিদ্ধান্ত নেবে। এখানে আমি কাউকে নির্ধারণ করে দিতে পারি না। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দেশের জনগণ এবং দলই ঠিক করবে, কে হবে তাদের পরবর্তী নেতৃত্ব’।

বর্তমান সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে যে দেশের উন্নয়ন হয়, সেটি তারা করে দেখিয়েছে। বাংলাদেশকে একটি সম্মানজনক অবস্থায় নিয়ে এসেছে। এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে নেয়।

সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা বৈশ্বিক সমস্যা। অনেক উন্নত ও শান্তিপূর্ণ দেশেও এ ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে। এরসঙ্গে অনেক শিক্ষিত ছেলেরা জড়িত। এর বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আছি। এটাই যেনো বজায় থাকে, সেজন্য সবাইকে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ নিতে সরকারের কোনো চাপ নেই বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যারা শপথ নিয়েছেন তারা স্বেচ্ছায় শপথ নিয়েছেন। এ নিয়ে সরকারের কোনও চাপ নেই। যারা তাদের নির্বাচিত করেছেন তারাই শপথ নেয়ার বিষয়ে তাদের চাপ দিচ্ছেন।

খালেদা জিয়ার মামলা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনকে রাজনৈতিকভাবে গ্রেফতার করা হয়নি। আদালত দুর্নীতির কারণে তার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলাও আওয়ামী লীগ সরকার করেনি। ১০ বছর আগে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার তার বিরুদ্ধে মামলা করে।

রোহিঙ্গা সমস্যা তুলে ধরেন তিনি বলেন, মানবিক কারণে যারা রোহিঙ্গাদের সেবা দিতে আসছেন, তারা নিজেদের সেবায় বেশি মনোযোগী হন। আমার ধারণা সমস্যা ওখানেই। অনেক সংস্থা এদের ভাসানচরে পাঠাতে চায় না। এর পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে।

দেশের গণমাধ্যম প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাপা পত্রিকার সামনে প্রযুক্তি যে বাস্তবতা দাঁড় করিয়েছে সেটা সংশ্লিষ্টদের মানতেই হচ্ছে। কেবল বাংলাদেশে নয়, প্রযুক্তি সারাবিশ্বের মানুষের জন্য নানা সুযোগ সৃষ্টি করেছে, আধুনিকতার জায়গায় নিয়ে গেছে। সেজন্য এক ধরনের ধারাবাহিকতায় চলতে থাকলে হবে না। আধুনিকতা ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।

সম্প্রচার মাধ্যম নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান বলেন, এখনো অনেকে চ্যানেল চাইছে। তথ্যমন্ত্রীকে বলেছি, যতো চাইছে, দিয়ে দিতে। কিছু না হোক, কিছু লোকের চাকরি হবে, কর্মসংস্থান হবে।