দর্পণ ডেস্ক : বাংলাদেশের রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় আগুনে হতাহতের ঘটনায় আজ (সোমবার) সারাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় শোক দিবসে দেশের সব সরকারি-আধা সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানানো হয়। বিদেশেও বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুরান ঢাকা চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় ৬৭ জন নিহত হন। আহত হন প্রায় অর্ধশতাধিক। এখনো বেশ ক’জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

এদিকে, ঢাকার রাসায়নিক গুদাম সরাতে ৯ বছর আগের উচ্চ আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছে পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো। চকবাজারের ঘটনায় রোববার বিচারবিভাগীয় তদন্ত ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে আলাদা তিনটি রিটের মাধ্যমে এ হস্তক্ষেপ চান তারা।

২০১০ সালে নিমতলীর ভয়াবহ আগুনে ১২৪ জন নিহত হওয়ার পর পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদাম সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। কিন্তু গত নয় বছরে আদালতের এ আদেশ বাস্তবায়ন হয়নি। আমলে নেয়া হয়নি এ সংক্রান্ত কমিটির রিপোর্ট ও সুপারিশ।

এ অবস্থায় উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নে উদাসীনতা নিয়ে আবারো আদালতের হস্তক্ষেপ চান আইনজীবীরা।

ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, যাদের ব্যর্থতার কারণে ঘটনাটা ঘটেছে সেটা যেন তদন্ত করে বের করা হয়।

চকবাজারের ঘটনায় রোববার আলাদা তিনটি রিট হয়েছে উচ্চ আদালতে। এবারও পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদাম সরানো এবং ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।

এদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির সূত্র উল্লেখ করে একটি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হাজী ওয়াহেদ ম্যানশনের দোতলার কেমিক্যাল বিস্ফোরণ থেকে হয়। ‘দোতলায় হাইলি ফ্লেমেবল (অত্যন্ত অগ্নিদাহ্য) পদার্থ ছিল। সেখানকার বিস্ফোরণেই আগুনের সূত্রপাত। মুহূর্তেই আগুন ৩-৪ টি বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর গাড়িগুলোর সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ ঘটে।