দর্পণ ডেস্ক : লিবারেল ডেমোক্র্যাট এমপি টম ব্রেক সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের স্ত্রী আসমা আল আসাদের ব্রিটিশ পাসপোর্ট ও নাগরিকত্ব বাতিল করতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আসাদের ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত স্ত্রী আসমা সামাজিক মাধ্যমে তার স্বামীর শাসন ব্যবস্থার সমর্থন করায় এমন দাবি উঠেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র টম ব্রেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আম্বার রুডকে চিঠি লিখে এমন দাবি করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে টম ব্রেক বলেন, ‘আপনি আপনার ক্ষমতা ব্যবহার করে আসমা আসাদের নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করে নিন।’
টম ব্রেক বলেন, ‘সিরিয়ার ফার্স্টলেডি যে আচরণ করছেন তা ‘প্রাইভেট সিটিজেন’র মতো নয়। তার আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, তিনি সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র। বরিস জনসন (এমপি) সিরিয়া বিষয়ে আরও কঠোর হতে অন্যান্য দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সরকারের আসমা আসাদকে বলা উচিত, আপনি হয় স্বামীর এমন বর্বর ঘটনার পক্ষ নেয়া বন্ধ করুন নয়তো আপনার নাগরিকত্ব বাতিল করা হবে।’
কনজারভেটিভ পার্টির ইরাকি বংশোদ্ভূত এমপি নাদিম জাহাওয়াই টম ব্রেকের বক্তব্যকে সমর্থন করে বলেন, ‘তিনি (আসমা আসাদ) আসাদের পক্ষ নিয়ে যা করছেন তা স্পষ্টতই যুদ্ধাপরাধ। বেসামরিক মানুষের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র হামলা করে বৈশ্বিক নিন্দার মুখে পড়া স্বামীকে (বাশার আল আসাদ) তিনি সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন।’
আসমা আল আসাদ সিরিয়াবিরোধী মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে লেখেন, ‘সিরিয়ান আরব প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে জানানো যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র যা করছে তা দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অদূরদর্শিতার প্রমাণ। দেশটির এমন কর্মকাণ্ড সিরিয়ার বাস্তবতার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও সামরিক অন্ধত্ব।’
আসমা আল আসাদ পড়াশোনা করেছেন যুক্তরাজ্যে। ২০০০ সালে বাশার আল আসাদকে বিয়ে করার আগে তিনি একজন ব্যাংকার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ব্রিটিশ নগারিকত্ব কেড়ে নেয়া হলেও তিনি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়বেন না। কেননা যুক্তরাজ্য ও সিরিয়া উভয় দেশের নাগরিকত্ব আছে তার।