দর্পণ ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপি-আরএসএস দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করলে দেশ ক্ষমা করবে না। তিনি আজ (সোমবার) এক সংবাদ সম্মেলনে ওই মন্তব্য করেন।

মমতা এদিন কাশ্মিরে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় সিআরপিএফ জওয়ানদের নিহত হওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় সরকারের গাফিলতিসহ নানা প্রশ্ন উত্থাপন করেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলা শান্তিপ্রিয় জায়গা। আমরা সবাই মিলে যখন লড়াই করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, হঠাৎ দেখছি গত দু’দিন ধরে রাত বারোটা/একটায় ভারতের জাতীয় পতাকা নিয়ে আরএসএসের কিছু প্রচারক বেরোচ্ছে রাস্তায়। বিজেপি ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কিছু যারা মানুষকে ঘৃণা করতে শেখায়, সাম্প্রদায়িক সংগঠন, তাঁরা রাস্তায় বেরোচ্ছে। তাঁরা রাস্তায় বেরিয়ে রাত্রিবেলায় আতঙ্ক সৃষ্টি করছে! গতকাল বেহালা ও বনগাঁয় এরকম ঘটনা ঘটেছে আমার কানে এসেছে। একটা দলের, কোনো একটা সম্প্রদায়ের একটা জলসা চলছিল, সেখানে আরএসএসের মিছিল নিয়ে গিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে শ্রীরামপুরে, হুগলিতে। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। আরএসএসের প্রচারক যারা বহিরাগত তাঁরা এই সুযোগে হিন্দু-মুসলিম-শিখ-খ্রিস্টান দাঙ্গা বাধিয়ে দিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমেরিকান গোয়েন্দা বিভাগ যেটা বলেছিল, গত একমাস আগে, তাঁরা একটা অ্যাডভাইজারি দিয়েছে নির্বাচনের নাম করে ভারতে দাঙ্গা হবে। তাঁরা এ নিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছিল। আমরা তো দেখতে পাচ্ছি একটা ঘটনা ঘটেছে, সেজন্য আমরা তার শাস্তি চাই। এতগুলো জওয়ানকে যারা মেরে দিয়েছে এবং এই মরবার পিছনে যে দুর্বলতা আছে, যে গাফিলতি আছে, যে অবহেলা আছে, কেন ২০০৫ জন জওয়ান একইসঙ্গে ৭৮ টি কনভয় একসঙ্গে অনুমোদন করা হল? সরকারের কাছে যখন আক্রমণ হতে পারে খবর ছিল তখন আগেভাগে কেন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি? কেন এক সঙ্গে এত কনভয় একসঙ্গে গেল? সরকারি গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্ট থাকা সত্ত্বেও কেন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি?’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে টার্গেট করে মমতা বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম লড়াইটা একসঙ্গে লড়ব, কিন্তু এখন দেখছি আমরা চুপ করে বসে আছি, আর মোদিজি-অমিত শাহ ভাষণ দিয়ে বেড়াচ্ছেন। ওঁরা এমন ভাষণ দিচ্ছেন, যেন ওঁরাই শুধু দেশপ্রেমিক, আর সকলে উগ্রপন্থী! এটা ঠিক নয়।’