দর্পণ ডেস্ক : ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বহুলালোচিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পেশ করতে না পারায় অসমের ইউডিএফের পক্ষ থেকে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধীদের তুমুল হট্টগোলের জেরে আজ (বুধবার) নির্ধারিত সময়ের আগেই রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দিতে বাধ্য হন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান।

৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সংসদের বাজেট অধিবেশনের আজই ছিল শেষ দিন। ফলে সংসদের কাজকর্ম অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি হয়ে যাওয়ায় সরকারপক্ষ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিল রাজ্যসভায় পেশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিলটি আগেই লোকসভায় পাস হলেও রাজ্যসভায় তা উত্থাপন ও পাস না হওয়ায় সেটি কার্যত তামাদি হয়ে গেল।
এ প্রসঙ্গে অসম রাজ্য জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক ও ইউডিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাদির কাশেমি আজ (বুধবার) রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘বিজেপির নৈতিক দুর্বলতা থাকার জন্য বিলটি রাজ্যসভায় উত্থাপন পর্যন্ত করতে পারেনি! তাঁর আগেই ওঁরা থমকে গেছে। এটা ওদের চরম ব্যর্থতা। ওঁরা রাজ্যসভায় বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদের ফলে বিজেপি পরাজিত হয়েছে। এটা শুধু বিজেপির পরাজয় নয়, এটা ভারতের গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের জয়। বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেভাবে সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতাকে রক্ষার জন্য এবং সংবিধানের মৌলিক ধারাগুলোকে রক্ষার জন্য যেভাবে আন্দোলন করেছেন, সেজন্য সমস্ত বিরোধী দল ধন্যবাদের পাত্র। ভারতীয় জনতা পার্টি নিয়ে আমার মত হল- তাঁরা নৈতিক দায়িত্ব স্বীকার করে সরকার থেকে তাঁদের ইস্তফা দেয়া উচিত। তাঁরা সংবিধান বিরোধী কাজ করছিল। প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি অসমে এসে বলেছিলেন, যেকোনো মূল্যের বিনিময়ে তিনি নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করবেন। প্রধানমন্ত্রী এত বড় কথা বাস্তবায়িত করতে পারলেন না সেজন্য নৈতিক দায়িত্ব স্বীকার করে ওনার পদত্যাগ করা উচিত।’

বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধভাবে ময়দানে নামলে বিজেপিকে রুখে সম্ভব বলেও ইউডিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাদির কাশেমি মন্তব্য করেন।