আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিবিআই) কর্মকর্তাদের মুখোমুখি হবেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। সকাল ১০টা ৪৭ মিনিটে ওকল্যান্ডে সিবিআই দফতরে পৌঁছেছেন তিনি। ইতোমধ্যে সেখানে পৌঁছে গেছেন সিবিআই কর্মকর্তারাও।
গাড়ি নিয়েই সরাসরি দফতরের ভেতরে ঢুকে যান রাজীব। তার সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মুরলীধর শর্মা এবং জাভেদ শামীম। এর আগে ১০টা ১৫ মিনিটে সিবিআই দফতরে প্রবেশ করেন সিবিআইয়ের যুগ্ম ডিরেক্টর পঙ্কজ শ্রীবাস্তব।
সিবিআই সূত্রের খবরে বলা হয়েছে, ওকল্যান্ড সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের মতো এতো বড় এলাকা নয়। সেজন্য ওকল্যান্ডের নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন সিবিআই কর্মকর্তারা। সে কারণেই সকাল থেকেই নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে সেখানকার সিবিআই দফতর।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে তিনটায় রাজীব কুমার শিলংয়ের বিমানবন্দরে পৌঁছান। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের কর্মকর্তা জাভেদ শামিম এবং মুরলীধর শর্মা। সঙ্গে ছিলেন আরও দু’জন। কলকাতা থেকে একই বিমানে আসা একজনের দাবি, ওই দু’জন আইনজীবী। শিলং বিমানবন্দর থেকে রাজীবকে ভিআইপির মতো কনভয় করে নিয়ে যায় মেঘালয় পুলিশ। শিলংয়ে ত্রিপুরার রাজা প্রদ্যোৎবিক্রমকিশোর মাণিক্য দেববর্মার প্রাসাদ ‘ত্রিপুরা ক্যাসল’-এ দলবল নিয়ে ওঠেছেন রাজীব কুমার।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সিবিআই অফিসারদের শুক্রবার দুপুরে বিমানে আসার কথা ছিল। কিন্তু আগেই তারা তা বাতিল করে দেন। শনিবার ভোরের বিমানে গুয়াহাটি নামেন সিবিআই কর্মকর্তারা। সেখান থেকে সড়ক পথে ওকল্যান্ডে সিবিআই দফতরে পৌঁছান।