দর্পণ ডেস্ক : রাজধানীবাসীকে নিরাপদ ও দ্রুত চলাচলের সুযোগ এবং যানজটের নাকাল থেকে পরিত্রাণ দিতে মেট্রোরেলের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। দুটি ভাগে বিভক্ত প্রকল্পটির উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের কাজ এখন দৃশ্যমান। চলতি বছরের মধ্যে এই অংশ দিয়ে যাত্রী পারাপারের কথা রয়েছে। লক্ষ্য বাস্তবায়নে দেশের পাশাপাশি জাপানেও প্রকল্পের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলেছে।
জাপানি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান মেট্রোরেলের অন্যতম অংশ রোলিং স্টক (রেল কোচ) প্রস্তুত করেছে। এখন চলছে পরিদর্শন ও পর্যালোচনার কাজ। সব ঠিক থাকলে শিগগিরই রেল কোচগুলো পানিপথে ঢাকায় নিয়ে আসা হবে। ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল পথে ৭৭০টি স্প্যান বসবে। পুরো পথে থাকবে ১৬টি স্টেশন। এ পথে ১৪ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। প্রতিটি ট্রেন এক হাজার ৬৯৬ জন যাত্রী বহন করতে পারবে। এরমধ্যে ৯৪২ জন বসে এবং ৭৫৪ জন দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেন। ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিসম্পন্ন মেট্রোরেল ৩৭ মিনিটে উত্তরা থেকে মতিঝিলে পৌঁছাবে। প্রতি চার মিনিট অন্তর ট্রেন ছেড়ে যাবে। উভয় দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী মেট্রোরেলের ১৬টি স্টেশন স্থাপন করা হবে। দ্বিতল ভবনের সমান উচ্চতার প্রতিটি স্টেশনের নিচতলায় থাকবে টিকিট ঘর। প্রবেশপথ হবে স্বয়ংক্রিয়। স্টেশনগুলো হচ্ছে- উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কাওরান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয় ও মতিঝিল।
‘বাঁচবে সময় বাঁচবে তেল, জ্যাম কমাবে মেট্রোরেল’-এ স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর সরকার এ প্রকল্প অনুমোদন করে। প্রাথমিক মেয়াদকাল ছিল ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। ২০১৬ সালের ২৬ জুন নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে জাইকা। পাঁচ হাজার ৩৯০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয় করছে সরকার।