দর্পণ ডেস্ক : ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ইংরেজি ভাষার নিউজ চ্যানেল প্রেস টিভির খ্যাতিমান প্রেজেন্টার মারজিয়া হাশেমিকে আগামীকাল বুধবার মার্কিন আদালতে হাজির করা হবে। তার বড় ছেলে হোসেইন জানিয়েছেন, বুধবার ২৩ সদস্যের জুরি বোর্ড তার মায়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
হোসেইন জানান, ‘মার্কিন সরকার একটি বিতর্কিত আইনের ধারা ব্যবহার করে আমার মাকে কারাগারে নিয়েছে যা খুবই কম ব্যবহার করা হয়। এই আইন যখন কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয় তখন ওই ব্যক্তিকে ১৬ দিন আটক রাখা যায়। এরপর তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়’।
হোসেইন জানান, এর আগের দুদফায় তার মায়ের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনতে ব্যর্থ হয়েছে আদালত। সে ক্ষেত্রে গ্রান্ড জুরি যদি এবার যথেষ্ট প্রমাণাদি না পায় তাহলে তার মায়ের মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২৩ সদেস্যর জুরি বোর্ডই সিদ্ধান্ত নেবে মারজিয়া হাশেমির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে কিনা।
আমেরিকার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে জন্মগ্রহণকারী মার্জিয়ার আগের নাম ছিল মেলানি ফ্রাঙ্কলিন। খ্রিস্টান পরিবারে বেড়ে ওঠা এই নারী পরিণত বয়সে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের স্থপতি ইমাম খোমেনি (রহ.)’র চিন্তাদর্শনে প্রভাবিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। একজন ইরানি নাগরিকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর তিনি নিজের জন্য মার্জিয়া হাশেমি নাম বেছে নেন।
তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে ইরানের ইংরেজি ভাষার নিউজ চ্যানেল প্রেস টিভির সাংবাদিক ও নিউজ প্রেজেন্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তাকে গত রোববার আমেরিকার মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইস ল্যাম্বার্ট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটক করে মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। কিন্তু মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে তাকে যোগাযোগ করতে দেয়া হয় নি এবং এই দুই দিন তিনি কার্যত নিখোঁজ ছিলেন।
মার্জিয়া হাশেমি নিজের অসুস্থ ভাইকে দেখতে এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আমেরিকা সফরে গিয়ে বিমানবন্দরেই আটক হন। তিনি তার মেয়েকে জানিয়েছেন, তাকে হ্যান্ডকাফ ও ডাণ্ডাবেরি পরানো হয়েছে এবং তার সঙ্গে দাগী আসামীর মতো ব্যবহার করা হয়েছে। প্রেস টিভির এই ধর্মপ্রাণ নারী সাংবাদিক আরো জানিয়েছেন, মার্কিন নিরাপত্তা বাহিনী জোর করে তার হিজাব খুলে ফেলে সেই অবস্থায় তার ছবি তুলেছে।