দর্পণ ডেস্ক : ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সাহায্য বন্ধ করে দেয়ার মার্কিন সিদ্ধান্তকে ‘রাজনৈতিক চাঁদাবাজি’ বলে মন্তব্য করেছে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এটি বলেছে, এই সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনি জাতির সঙ্গে আমেরিকার অনৈতিক আচরণের বিষয়টি ফুটিয়ে তুলেছে।
হামাসের মুখপাত্র ফৌজি বারহুম শনিবার গাজায় এক বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিন সংকটকে মুছে ফেলার মার্কিন-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন এবং ফিলিস্তিনি জাতির ওপর কথিত ‘শতাব্দির সেরা চুক্তি’ চাপিয়ে দেয়ার অশুভ লক্ষ্যে এই চাঁদাবাজির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা।
তিনি মার্কিন ও ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে ফিলিস্তিনি জাতির ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করার জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার ক্ষমতায় আসার পর ফিলিস্তিনি জাতির ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছে ওয়াশিংটন। মার্কিন সরকার ফিলিস্তিনকে দেয়া সব ধরনের অর্থনৈতিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে। কথিত ‘শতাব্দির সেরা চুক্তি’ মেনে নিতে ফিলিস্তিনি জনগণকে বাধ্য করার জন্য এই ব্যবস্থা নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
আমেরিকার তৈরি ওই চুক্তির খসড়ায় বলা হয়েছে, মুসলমানদের প্রথম কেবলা আল-আকসা মসজিদের শহর বায়তুল মুকাদ্দাসের মালিকানা ইহুদিবাদী ইসরাইলের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।সেইসঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা আর তাদের মাতৃভূমিতে ফিরতে পারবে না এবং জর্দান নদীর পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকার সীমিত ভূমি নিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হবে।