দর্পন ডেস্ক : কয়েকদিন আগেই সুনামি আছড়ে পড়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। প্রকৃতির মারে কাবু ফিলিপাইন। এ বার সুনামির আতঙ্কে রয়েছে তারা। শনিবার ভূমিকম্পের পরে সুনামি-সতর্কতা ঘোষণা করা হয় দেশটিতে। যদিও পরে তা তুলে নেয়া হয়।

ভূমিকম্পের পরেই বইতে শুরু করেছে ঝড়। নেমেছে ধস। ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে চারজনের। অনেক জায়গায় নেমেছে বৃষ্টি। প্রায় ১২ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার। ক্রমশ সেটি এগিয়ে যাচ্ছে দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে। রবিবার সেখানে পৌঁছে ঝড়টি শক্তি হারাবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।

এ দিন সকালে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ফিলিপাইনের উপকূলবর্তী অঞ্চল মিন্ডানাও। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৬ দশমিক ৯। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় এক মিনিট ধরে চলে ভূমিকম্প। আমেরিকার প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার-এর তরফে ঘোষণা করা হয় সুনামি সতর্কতা। সুনামি-সতর্কতা ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসনও। সাধারণ মানুষকে সমুদ্রের কাছে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। দু’ঘণ্টা পরে সেই সতর্কতা তুলে নেয়া হলেও আতঙ্ক কাটেনি ফিলিপাইনবাসীর।

এ দিন ফিলিপাইনের বিভিন্ন জায়গায় বইতে শুরু করে ঝড়। লিগাজ়পি সিটিতে ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে একই পরিবারের তিনজনের। বুলান টাউনে ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। আতঙ্কে ভুগছেন ইন্দোনেশিয়ার মানুষও। কয়েক দিন আগেই আগ্নেয়গিরি ‘আনাক ক্রাকাতোয়া’ (ক্রাকাতোয়ার শিশু) থেকে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সুনামির কবলে পড়ে ইন্দোনেশিয়া। প্রাণ যায় প্রায় ৪০০ জনের। আনন্দবাজার