দর্পণ ডেস্ক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীর কোনো প্রার্থী নেই বলে দাবি করেছেন।
শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচনে জামায়াতকে কত আসন ছাড়া হচ্ছে— এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন কেউ জামায়াত নেই, সব ধানের শীষ। জামায়াতের কোনো প্রার্থী নেই।’
এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনায় তফসিলের পরে কোনো গ্রেফতার হবে না বলে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এটা অত্যন্ত পরিষ্কার— এই নির্বাচন কমিশন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের অবস্থাতে নেই। তারা সরকারের নীলনকশা বাস্তবায়ন করে চলেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। পুরো জাতিকে তারা সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে। তাই কোনো ধরনের সংঘাত হলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনটা দিন না সুষ্ঠুভাবে। দেখেন কে কতটা আসন পান। আগেও বলেছি, এখনও বলছি ৩০টার বেশি আসন পাবেন না।
প্রধানমন্ত্রী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন— এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী একটা জিনিসকেই ভয় পান। সেটি হলো সুষ্ঠু নির্বাচন। আর বর্তমান নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই এগুলো করছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, এই নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তারা বড় বড় কথা বলেন। কিন্তু ইসি মূলত বর্তমান সরকারের তল্পিবাহক হিসেবে কাজ করছে। তাদের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান।
মির্জা ফখরুল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিএনপির ৬১১ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে নেতাকর্মীদের নামের তালিকা তুলে ধরেন।
শনিবার বা রোববার তারা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিতে যাবেন বলেও এ সময় উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।