দর্পণ ডেস্ক : রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে চরম উত্তেজনার মধ্যেই নতুন এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করছে। ইউক্রেনের সঙ্গে চরম উত্তেজনার মধ্যেই শক্তি প্রদর্শনে দখলকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপে শিগগিরই ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য নতুন এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে যাচ্ছে রাশিয়া।
কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার জলসীমায় ইউক্রেনের তিনটি জাহাজ এখনও আটকে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ইউক্রেন তাদের জাহাজ আটকের জেরে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩০ দিনের জন্য সামরিক আইন জারির আদেশ দেয়ার পর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের উদ্যোগের এই খবর এলো।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা রিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, এই বছরের শেষ দিকে নিজেদের আরও আধুনিক এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা প্রয়োগ করতে চলেছে রাশিয়া। ওদিকে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন পশ্চিম সামরিক জোট ন্যাটোকে আজভ সাগরে যুদ্ধ জাহাজ পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেন।
অবৈধভাবে জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগ তুলে গত রোববার রাশিয়া কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনের দুটি গানবোট এবং একটি টাগবোট আটক করে। পরদিন রুশ নিরাপত্তা সংস্থা এফএসবি জানায়, তাদের সীমান্ত টহল বোটগুলো ইউক্রেন নৌবাহিনীর জাহাজ বাজেয়াপ্ত এবং সেগুলো থামাতে অস্ত্র ব্যবহার করেছে। আর এ ঘটনায় ইউক্রেনের তিন নাবিক আহত হয়েছেন।
রাশিয়া জানায়, আহত নাবিকদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এবং ইউক্রেনের ২৪ নাগরিককে আটক করা হয়েছে। ক্রিমিয়ার একটি আদালত পরে আটক ১২ জনকে ৬০ দিনের কারাদণ্ড দেন।
ইউক্রেনের জাহাজগুলোকে আটকাতে রাশিয়া প্রায় ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কৃষ্ণ সাগর থেকে আজভ সাগরে জাহাজ চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছিল। এ ঘটনায় কিয়েভ মস্কোর বিরুদ্ধে ‘আগ্রাসনের অভিযোগ তুললেও ক্রেমলিন বলছে, আগে থেকে না জানিয়ে তাদের জলসীমায় গানবোট পাঠিয়ে ইউক্রেন ইচ্ছা করেই ‘যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি’ করেছে।
পোরেশেঙ্কো পরে বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে একটি ‘পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধের’ আশঙ্কাও করছেন তিনি। পোরোশেঙ্কো জানান, ‘আমাদের সীমান্তের কাছে অবস্থিত রুশ ঘাঁটিগুলোতে তাদের ট্যাঙ্কের সংখ্যা অন্তত তিনগুণ বেড়েছে।’ ক্রিমিয়া অধিগ্রহণ ও ২০১৪ সালে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুটি এলাকায় মস্কোপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর লড়াই শুরুর পর থেকেই দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে।
এফএসবি আটক কয়েকজনের বিবৃতির ভিডিও রেকর্ডিং প্রকাশ করেছে। ভিডিওতে ইউক্রেনের নাবিকরা বলেন, তারা রুশ জলসীমায় জাহাজ পাঠিয়ে ‘উসকানি সৃষ্টিতে’ কিয়েভের পদক্ষেপ সম্পর্কে আগে থেকেই অবগত ছিলেন।
ওদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরেশেঙ্কোর জাহাজ আটক করার ঘটনায় ১০ সীমান্ত এলাকায় ৩০ দিনের জন্য সামরিক আইন জারির আদেশ দেন। সোমবার রাতে দেশটির পার্লামেন্ট ওই আদেশে অনুমোদন দেয়।