দর্পণ ডেস্ক : চট্টগ্রামে নিখোঁজের সাত মাস পর স্কুলশিক্ষিকা মনিকা বড়ুয়া রাধাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার ভোমরা ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
মনিকাকে গ্রেফতারের পর সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম

মনিকা নগরীর লিটলস জুয়েল স্কুলের গানের শিক্ষিকা। গত ১২ এপ্রিল নগরীর লালখানবাজার হাইলেভেল রোড থেকে নিখোঁজ হন মনিকা। এ ঘটনায় তার স্বামী দেবাশীষ বড়ুয়া বাদী হয়ে ২৮ এপ্রিল খুলশী থানায় মামলা দায়ের করেন।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম বৃহস্পতিবার সিএমপি সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মামলার সূত্র ধরে গত ৪ নভেম্বর ভারতীয় নাগরিক কমলেশ কুমার মল্লিককে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে কমলেশ কুমার মল্লিক জানান, গত ১২ এপ্রিল কমলেশ নিজে এসে চট্টগ্রাম থেকে মনিকা বড়ুয়াকে সীমান্তে নিয়ে যায়। সেখান দিয়ে মনিকাকে পাসপোর্ট ও ভিসা ব্যতিত ভারতে অনুপ্রবেশ করায়। মনিকা কলকাতায় তার নিজস্ব ফ্ল্যাট সিদ্ধেশ্বরী এ্যাপার্টমেন্টে ছিল।

পরে নানা কৌশলে মনিকা বড়ুয়াকে মঙ্গলবার সাতক্ষীরা জেলার ভোমরা সীমান্ত ডেকে এনে আটক করা হয়।

এ প্রসঙ্গে নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. কামরুজ্জামান বলেন, ভারতে মনিকার নামে ভারতীয় পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য কার্ড তৈরি করা হয়। সেখানে মনিকার নতুন নাম রাখা হয় অনামিকা মল্লিক এবং স্বামী হিসেবে কমলেশ মল্লিক উল্লেখ করা হয়েছে।

কমলেশ মল্লিক জানিয়েছে, তারা ধর্মীয়ভাবে মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেছেন। তবে কোথাও কোনো রেজিস্টার করা হয়নি।

পুলিশ আরও জানায়, দুই সন্তানের জননী মনিকার সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয়ের পর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন কমলেশ মল্লিক। এর জের ধরেই তারা পালিয়ে বিয়ে করেন।