দর্পণ ডেস্ক :
আফগানিস্তানের কাছেও হারলো শ্রীলঙ্কা। শুরুর আগেই শেষ শ্রীলঙ্কা! কথাটা বলতে হচ্ছে কারণ, এশিয়া কাপের অন্যতম সদস্য ভারত এখনো মাঠে নামেনি। অথচ বিদায় নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
একটি করে ম্যাচ খেলেছে শ্রীলঙ্কার গ্রুপে থাকা বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। তাতেই তারা উঠে গেছে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে। গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচেই হেরে বিদায় নিয়েছে এশিয়ার ‘সিংহ’ শ্রীলঙ্কা। নতুন রূপকথার জন্ম দিয়েছে আফগানরা। গ্রুপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটাকে কেবল নিয়ম রক্ষায় পরিণত করেছে মুজিব উর-নবীরা।
সোমবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আবুধাবিতে প্রথমে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪৯ রান তোলে তারা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৫৮ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলংকা। আফগানিস্তান ৯১ রানের বড় ব্যবধানে জয় পায়। সঙ্গে এক ম্যাচ হাতে রেখে নিশ্চিত করে সুপার ফোর।
লঙ্কানরা অবশ্য শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায়। আফগান বোলার মুজিব উরের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউ হয়ে পর পর দুই ম্যাচে ‘ডাক’ মেরে সাজঘরে ফেরেন কুশল মেন্ডিস। এরপর উপুল থারাঙ্গা এবং ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা সেই ধাক্কা সামাল দেন। যোগ করেন ৫২ রান। কিন্তু সিলভা রান আউটে কাটা পড়েন নিজের ২৩ রানে। এরপর নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা।
ম্যাচের সর্বোচ্চ রান উপুল থারাঙ্গার ৩৬। আর কেউ ৩০ এর ঘরে আসতে পারেনি। সেট হয়ে আউট হয়ে ফিরেছেন টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা। কুশল পেরেরা ১৭, ম্যাথুস ২২, সেহান জয়সুরিয়া ১৪ এবং থিসারা পেরেরা ২৮ রানে ফিরেছেন। কেউ ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি। অবশ্য নবী-মুজিব উররা দাঁড়াতে দেননি বলতে হবে। এছাড়া দুই রান আউটও বিপাকে ফেলেছে শ্রীলঙ্কাকে। শেষমেষ ৪১.২ ওভারে ১৫৮ রান করে গুটিয়ে যায় হাথুরুসিংহের শিষ্যদের ইনিংস।
প্রথম ম্যাচে হারের কারণ হিসেবে ম্যাথুস দায়ী করেছিলেন বাজে ব্যাটিংকে। দ্বিতীয় ম্যাচে তা আরও প্রকট হয়ে ধরা দিল। কারণ দুই ম্যাচেই উইকেট ছিল ব্যাটিং সহায়ক। ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই সেরা ছিল তারা আফগানরা। প্রথমে ব্যাটে নেমে ভালো শুরু করেন দুই ওপেনার।
কোন উইকেট না হারিয়ে তারা দলীয় অর্ধশত রান পূর্ণ করেন। এরপর ১২ ওভারের মাথায় দলীয় ৫৭ রানে এবং ব্যক্তিগত ৩৪ রানে ফেরেন আফগান ওপেনার এবং উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ শাহজাদ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঠিক ৫০ রান যোগ করেন এহসানউল্লাহ জানাত এবং রহমত শাহ। এরপর জানাত ফিরে যান তার ব্যক্তিগত ৪৫ রানে। তবে তিনে নামা রহমত শাহ ৭২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন।
আফগানদের ১১০ রানে ৩ উইকেট পড়ে যায়। সেখান থেকে রহমত শাহ এবং হাসমতউল্লাহ শহিদি ৮০ রানের জুটি গড়ে দলকে নিরাপদ লক্ষ্যের দিক নিয়ে যান। তবে শেষদিকে নবী-নাজিবউল্লাহরা ভালো করতে পারেনি। তারা দুজন যথাক্রমে ১৫ এবং ১২ রান করে। শেষে রশিদ খানের ৬ বলে ১৩ রানের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪৯ রান করতে পারে তারা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে দুর্দান্ত বল করা লাসিথ মালিঙ্গা এদিন দারুণ খরুচে ছিলেন। তিনি ১০ ওভারে ৬৬ রান দিয়ে ১ উইকেট পান। তবে স্পিনার আকিলা ধনাঞ্জয়া দারুণ বল করেন। ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৯ রানে ২ উইকেট নেন তিনি। থিসারা পেরেরা ৯ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। এর মধ্যে শেষ ওভারে তিন উইকেট পান তিনি। আফগানদের হয়ে মুজিব উর, নবী, গুলবাদিন এবং রশিদ খান দুটি করে উইকেট নেন।

News Editor : Ganash Chanro Howlader. Office: 38-42/2 Distillery Road, 1st floor, Gandaria, Dhaka-1204.