দর্পণ ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট বলেছেন, মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথে থাকা বাংলাদেশের জন্য অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতিটি স্তরে সংশ্লিষ্ট সবাইকে শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আচরণের আহ্বানও জানাতে হবে।
সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচারণামূলক কর্মসূচি ‘শান্তিতে বিজয়’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
ইউএসএইড ও ইউকেএইডের যৌথ অর্থায়ন এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ‘স্ট্রেংদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ’ প্রকল্পের আওতায় প্রচার কার্যক্রমটি হাতে নেয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে ৪০টি জেলার চার শতাধিক রাজনৈতিক নেতা শান্তিপূর্ণ ও অহিংস নির্বাচনের শপথ নেন।
অনুষ্ঠানে মার্শা বার্নিকাট আরও বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সব রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত হওয়া উচিত। একই সঙ্গে ভয়ভীতি ও নিপীড়নমূলক বিধিনিষেধ ছাড়াই নির্বাচনী প্রচার ও সমাবেশ করার স্বাধীনতা থাকা জরুরি। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সব রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তির পরিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের স্বাধীনতাও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য অপরিহার্য।
অ্যালিসন ব্লেক বলেন, শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবারই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। সবাইকে বুঝতে হবে— শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণের প্রাপ্য।
এইচটি ইমাম বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদি কেউ অপপ্রচার কিংবা মিথ্যা প্রচারণা না চালায়, অনর্থক গালি না দেয় এবং প্রতিহিংসামূলক আক্রমণ না করে, তাহলেই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব।
ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বিএনপি অবশ্যই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশও চায়, যেখানে নির্বাচনী প্রচারে কোনো বাধা থাকবে না।
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য ন্যায়বিচার জরুরি।