দর্পণ ডেস্ক :
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারো মুখের দিকে তাকিয়ে মনোনয়ন দেয়া হবে না। প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা দেখেই মনোনয়ন দেয়া হবে। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভাকে জানান, আসন্ন নির্বাচনে দল নয়, প্রার্থীর ব্যক্তিগত ইমেজকে গুরুত্ব দেয়া হবে। কারণ নির্বাচনে জয়ের ক্ষেত্রে প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা কাজ করবে ৭০ শতাংশ আর দলের ভাবমূর্তি কাজ করবে মাত্র ৩০ শতাংশ।
সুতরাং বিভিন্ন রিপোর্টের ভিত্তিতে যেসব প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা থাকবে তাদেরই মনোনয়ন দেয়া হবে। এছাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ বইটি নিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্যরা আলোচনা করেন। এর আগে গত রোববার আসন্ন নির্বাচনের বিষয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপির আন্দোলন বা জোট গঠন নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা না হলেও নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে ধরেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য বলেন, বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে, এ ধারণা মাথায় রেখেই প্রার্থী দেবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট। গত পাঁচ বছরে যেসব সংসদ সদস্য ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন, তাদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী আভাসও দিয়েছেন যে, এমন আবেদনকারীদের মনোনয়ন দেয়া হবে না।