দর্পণ ডেস্ক :
গতকাল সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে নির্বাচনে আর লড়বেন না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি জানান, তার আসনে (সিলেট-১) লড়বেন তার ভাই একেএম আবদুল মোমেন। গ্রামীণ ব্যাংকের লভ্যাংশ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আর নির্বাচন করবো না এটা মোটামুটি ঠিক হয়ে গেছে।
নির্বাচন করবে আমার ভাই (জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এ কে আবদুল মোমেন)। আমি তার সমর্থক হয়ে কাজ করবো। তবে নির্বাচনকালীন সরকারে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এ বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল সচিবালয়ের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত গ্রামীণ ব্যাংকের লভ্যাংশের চেক গ্রহণকালে তিনি এসব কথা জানান।
অনুষ্ঠানে শেয়ার হোল্ডারদের হাতে লভ্যাংশ হস্তান্তর করেন গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাবুল সাহা। এ সময় ৬ কোটি ২৪ লাখ টাকার লভ্যাংশ হস্তান্তর করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আমার ভাই মোমেন (এম এ মোমেন)। তার প্রতি আমার আস্থা ও সমর্থন আছে। তবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মনোনয়ন বোর্ড এটি চূড়ান্ত করবে। আমি আশা করব তাকে ওই আসনে মনোনয়ন বোর্ড মনোনীত করবে। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির নেতাদের পাশাপাশি ড. কামাল, বি. চৌধুরীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল যে দাবি তুলেছে সে বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর অভিমত জানতে চান সাংবাদিকরা। এর জবাবে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি অবান্তর, অবাস্তব এবং বোগাস।
কারণ ২০০৮ সালের নির্বাচনে সব দল অংশ নিয়েছে। সেখানে নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন ছিল না। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আনফরচুনেটলি একটি বড় দল অংশ নেয়নি। সেটি তাদের বিষয়। কিন্তু ওই নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে তো প্রশ্ন তোলেনি। কাজেই তাদের এ ধরনের প্রস্তাব অবাস্তব এবং অবান্তর।
নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হবে ২৫ জানুয়ারি। এর আগেই আরেকটি সাধারণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে যাবে। আর নতুন সংসদ নির্বাচিত হলে আগের সংসদ অটোমেটিক ভেঙে যায়। তাই সংসদ ভেঙে দেয়ার কোনো দরকার দেখি না।
লভ্যাংশের চেক গ্রহণকালে ড. ইউনূসের প্রসঙ্গ টেনে অর্থমন্ত্রী বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এমডি হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকে রাখতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব ছিল। সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র এখনো বাংলাদেশকে কোটামুক্ত জিএসপি সুবিধা দেয়নি। তবে এরপরও আমরা এগিয়ে গিয়েছি। গ্রামীণ ব্যাংকও এখন ভালো চলছে। এটা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।
গত বুধবার পৃথক একটি অনুষ্ঠানে আগামী ২০ দিনের মধ্যে নির্বাচনকালীন সরকার ও ২৭ ডিসেম্বর ভোট হতে পারে বলে যে মন্তব্য তিনি করেছেন সে বিষয়ে সাংবাদিকরা তার দৃষ্টি আর্কষণ করে এটা সরকার বা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, যা বলেছি সব অনুমান। তবে ডিসেম্বরে নির্বাচন হচ্ছে এটি মোটামুটি চূড়ান্ত।

News Editor : Ganash Chanro Howlader. Office: 38-42/2 Distillery Road, 1st floor, Gandaria, Dhaka-1204.