দর্পণ ডেস্ক :
যন্ত্র নির্ভরতা এতটাই বেড়েছে যে, বিপরীত বা সমলিঙ্গের মানুষ নয়, যৌনসঙ্গী হিসেবে রোবট পছন্দ অনেকেরই। ডিজিটাল যুগে বিশ্বজুড়ে রোবটের চাহিদা বাড়ছে। দৈনন্দিন কাজকর্মের গণ্ডি পেরিয়ে এখন যৌন চাহিদা মেটাচ্ছে এই যান্ত্রিক মানবী। যৌনতার চেনা নিয়মের বাইরে নতুন কিছু পাওয়ার অভীপ্সা আরো চাহিদা বাড়িয়ে দিচ্ছে এই সেক্স ডলগুলোর। আর এই চাহিদাকে কাজে লাগিয়েই প্রথম সেক্স ডল পতিতালয় তৈরি করে ফেললেন ইতালির এক ব্যবসায়ী। উত্তর-পশ্চিম ইতালির এক গোপন জায়গায় খোলা হয়েছে এটি। মালিকরা জানাচ্ছেন, খদ্দেরদের বুকিংয়ে রীতিমতো বান ডেকেছে। কলকাতা থেকে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিদিনে এ নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে ইতালিতে এমনিতে পতিতালয় তৈরি নিষিদ্ধ।
কোনো মানব-মানবীকে যৌন ব্যবসার কাজে লাগানো আইনত দণ্ডনীয়। তাই এই সেক্স ডলের চাহিদা সে দেশে চরমে। আপাতত সিলিকনের তৈরি আটটি মডেল সেক্স ডল নিয়ে শুরু হয়েছে এই পতিতালয়। সাতটি মহিলা এবং একটি পুরুষ মডেল রয়েছে সেখানে। বুকিংয়ের চাহিদা যত বাড়ছে তত বাড়ছে রেটও। আধ ঘণ্টার জন্য গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে ৮০ ইউরো। রাতে সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টা পর্যন্ত বুক করা যায় এই যন্ত্র মানবীদের। পতিতালয়টির ব্যক্তিগত ঘরে মুড লাইট লাগানো। তাতে রয়েছে বিছানা, বাথরুম আর পর্নো ছবি দেখার জন্য টিভি। পুতুলকে পছন্দ করা ছাড়াও তারা কে কেমন পোশাকে থাকবে তাও ঠিক করে দেন খদ্দেররা। এই পতিতালয়ে পুতুলগুলোর চাহিদা এত বেশি যে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বুক হয়ে গেছে ২ দিনের জন্য। যৌন ফ্যান্টাসি পূরণের সবরকম উপকরণ মজুত এই সেক্স ডলগুলোর মধ্যে। অথচ মানুষ হলে বহু রকমের ঝুটঝামেলা পোহাতে হয়, তার বালাই নেই। সুতরাং কে আর সেধে চাপ নিতে চায়! বরং চাপমুক্তিতে ইতালীয়রা একান্ত মুহূর্তে কাছে টেনে নিচ্ছে এই সেক্সি রোবটদেরই। এতে অবশ্য কিছুটা আপত্তি আছে ইতালির যৌনকর্মীদের। কারণ প্রকাশ্যে না হলেও আড়ালে আবডালে যা ব্যবসা চলছিল, এই সেক্স ডলের পতিতালয় চালু হওয়ার পর তাও বন্ধ হওয়ার মুখে।

News Editor : Ganash Chanro Howlader. Office: 38-42/2 Distillery Road, 1st floor, Gandaria, Dhaka-1204.