,

it-shop.Com

আলাপচারিতায় সাবলীল হবেন যেভাবে

Spread the love

অনলাইন ডেস্ক : আধুনিক জীবনে একাকী জীবনযাপনের কোনো সুযোগ নেই। কর্মজীবন বা পারিবারিক জীবনই হোক, আমাদেরকে নানামুখী লোকজনের সান্নিধ্যে আসতে হয়। তখন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা একটি সাধারণ সাক্ষাৎ বা কথাবার্তার অংশ হয়ে যায়। তাই এসব আলাপচারিতায় নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে হলে বা মিশতে হলে কৌশলী হতে হয়। তা না হলে লোকজন আপনাকে সেকেলে বা আসামাজিক মনে করতে পারে। নিচে লোকজনের সঙ্গে আলাপে বা সাক্ষাতে সাবলীল হবেন কিভাবে তা নিয়েই আলোচনা করা হলো :

যখন অন্যের বক্তব্য শুনবেন :
যখন একজন কথা বলেন তখন তার অবচেতন মন বোঝার চেষ্টা করে, শ্রোতা তা মনোযোগ দিয়ে শুনছেন কি না। এটা মানুষের এক সহজাত প্রবণতা। এর দ্বারা নিশ্চিত হওয়া যায় যে আমরা অন্য কাউকে বিরক্ত করছি না বা আঘাত দিচ্ছি না। এ ক্ষেত্রে মস্তিষ্ক অন্যের অঙ্গভঙ্গি, মুখভঙ্গি এবং আচরণগত অন্যান্য বিষয় লক্ষ্য করতে থাকে। কাজেই যখন অন্যের কথা শুনছেন, তখন চোখ এদিক ওদিক নেবেন না। তার বক্তব্যকে প্রাধান্য দিন এবং মনোযোগ সহকারে শুনুন। কি শুনছেন তা নয়, বরং কিভাবে শুনছেন তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

অন্যকে বলার সুযোগ দিন :
যখন আলাপচারিতায় বসেছেন, তখন নিজের বিস্তর বলার সুযোগ থাকলেও অন্যকে বলার সুযোগ দেবেন। অধিকাংশ মানুষই তার বক্তব্যের মাধ্যম বাধাপ্রাপ্ত হলে বিরক্ত হন। কেউ যদি আপনার দ্বারা এই উপায়ে বিরক্ত হন, তখন আপনি কখনোই তার বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পারবেন না।

সম্পূরক মন্তব্যে সতর্ক হোন :
পরিবেশ বুঝে কারো বক্তব্যের সঙ্গে এসব মন্তব্য বেশ কাজের। সাধারণত কারো বক্তব্যের মাঝে ‘ও আচ্ছা’ বা ‘আহা’ ইত্যাদি দিয়ে শ্রোতা তার ভাব প্রকাশ করেন। এগুলো বক্তব্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে বিপদ। তা ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ীক আলোচনা বা সভায় এসব মন্তব্য বক্তার কাছে বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। কাজেই এ বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে।

নিজেকে সর্বজ্ঞানী ভাববেন না :
অনেক মানুষই আছেন যারা নিজেদের মহাজ্ঞানী মনে করেন। আর কারো সঙ্গে আলোচনায় তা স্পষ্ট করে তুলতে চান। এমন মানুষকে কেউ-ই পছন্দ করেন না। তাই বক্তব্যের বিপরীতে আপনি নিজেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কথা বলতে পারেন। কিন্তু এমন ভাব দেখানো উচিত নয় যে, আপনিই সব জানেন।

আগে বলে ফেলুন :
যদি দুর্বল মনের অধিকারী হয়ে থাকেন তবে প্রশ্ন থাকলে তা আগেই জিজ্ঞাসা করে ফেলুন। এতে কিছুটা রোবট বলে মনে হতে পারে। কিন্তু বেশি কথা বলতে গিয়ে এলোমেলো হওয়ার চাইতে আগে কাজ করে ফেলা ভালো। আলাপচারিতায় আত্মবিশ্বাসী থাকুন এবং আড্ডার ছলে কথা বলে যান। কোনো সভায় বা সেমিনারে প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন তুলে ধরার মাধ্যমেও কারো সঙ্গে আলাপচারিতার শুরু হতে পারে।

it-shop.Com

     এই বিভাগের আরও খবর