দর্পণ ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণের হার দ্রুতগতিতে বাড়ছে। এর মধ্যেই ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের জন্য একে একে খুলে দেওয়া হচ্ছে সব মসজিদের ফটক। ছোট আকারের মসজিদে জায়গার অভাবে একবারে ৫ থেকে ১০ জনের বেশি মানুষকে নামাজ পড়তে দেওয়া হচ্ছে না। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে ব্যবস্থা করা হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের। মেনে চলা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বিধিও।
পশ্চিমবঙ্গের বেঙ্গল ইমামস অ্যাসোসিয়েশন মসজিদ খুলে দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কয়েক হাজার মসজিদ খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত ১ জুন থেকে রাজ্যের সব ধর্মীয় স্থান জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার অনুমতি দেয় পশ্চিমঙ্গের তৃণমূল সরকার। ওই নির্দেশ অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার মসজিদ খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক নির্দেশিকায় বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্ত আরোপ করা হয়েছে।
তবে সরকারি ছাড়পত্র মিললেও এখনই ভক্তদের জন্য সদর দরজা খুলছে না দক্ষিণেশ্বরের শতাব্দীর প্রাচীন কালীমন্দির। মন্দির কর্তৃপক্ষ বলছে, কমিটির সদস্যদের নিয়ে মহড়ার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মোটামুটি একই অবস্থান কালীঘাট মন্দিরেও। সেখানকার মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, মন্দিরে প্রবেশ ও প্রস্থানের সময় দর্শণার্থীরা যাতে কোনও রকম অসুবিধায় না পড়েন সেজন্য চূড়ান্ত পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। এরপরই মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার ধর্মীয় স্থান থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর পরই ইমামস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছিল যে, রাজ্যের মসজিদগুলো সময় মতো খুলে দেওয়া হবে। ওয়াকফ বোর্ডের এক সদস্য জানিয়েছেন, রাজ্যের কমপক্ষে ৫০ হাজার মসজিদ খুলে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিবারে ১০ জনের বেশি মানুষকে একসঙ্গে নামাজ পড়তে মসজিদ চত্বরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।