অনলাইন ডেস্ক : জিনাত সানু স্বাগতা। মডেল, অভিনেত্রী, উপস্থাপক ও সঙ্গীতশিল্পী। তার উপস্থাপনায় এনটিভিতে আজ প্রচার হবে হাস্যরসাত্মক অনুষ্ঠান ‘১৩ নং বোর্ডিং’। অনুষ্ঠান ও অন্যান্য বিষয়ে কথা হলো
তার সঙ্গে-
‘১৩ নং বোর্ডিং’ অনুষ্ঠানটি নিয়ে বলুন।
এটি সেলিব্রেটি টকশো। এই ‘১৩ নং বোর্ডিং’-এ বিভিন্ন অঙ্গনের সফল তারকারা বেড়াতে আসেন। বোর্ডিংয়ের ম্যানেজার প্রাণ রায়। অতিথিদের এলাকার মেয়ে হিসেবে বিভিন্ন প্রশ্নের ফাঁদে ফেলি। যেসব পেশার মানুষ সেখানে অতিথি হয়ে আসেন, আমি ওই রূপটি ধারণ করি। অনুষ্ঠানটি নিয়ে দর্শক প্রতিক্রিয়া বেশ ভালো। আর এটি নিয়ে আমার প্রতিক্রিয়া আরও ভালো। অনুষ্ঠানটি করে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য পাচ্ছি। এটি আমার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জও বটে। এর প্রতি পর্বেই নিজেকে নতুন করে আবিস্কার করছি। হাস্যরসাত্মকভাবে কিছু সিরিয়াস বিষয় উঠে আসছে এতে।
বাংলাভিশনে ‘সোনালী দিনের রূপালী গল্প’ নামে আরও একটি অনুষ্ঠান করছেন। এটি এখন প্রচার হচ্ছে না। কারণ কী?
অনুষ্ঠানটি আপাতত বন্ধ। এর পরিবর্তে সিনেমা বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘সিনেবিট সাদাকালো’ প্রচার হচ্ছে। রোজার পরই আবার শুরু হবে ‘সোনালী দিনের রূপালী গল্প’। এ অনুষ্ঠানে আমি সিনেমার গল্প বলি। যে সিনেমার গল্প সেই সিনেমার প্রধান চরিত্রে রূপদান করতে হয় আমাকে। এটাতে আমি কখনও ববিতা, কখনও চম্পা, কখনও সুচরিতা হয়ে দর্শকদের আনন্দ দিই।
ইদানীং অভিনয়ে বেশ মনোযোগী হয়েছেন-
সংসার ও উপস্থাপনায় ব্যস্ততার কারণে মাঝে অভিনয় কমিয়ে দিয়েছিলাম। এখন আবার নিয়মিত ছোট পর্দার নাটক, টেলিছবিতে অভিনয় করছি। জাহিদ হাসানের সেন্টিমেন্টাল সেলিম, নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুলের কাগজের ফুল, অনিমেষ আইচের গুড ব্যাড বেস্ট এবং বিটিভির জন্য লকেট ধারাবাহিক নাটকে কাজ করছি। সম্প্রতি ‘ডিবি’ ধারাবাহিকে যুক্ত হয়েছি। আর আসছে ঈদের জন্য সাজ্জাদের পরিচালনায় ‘দু’জনে মিলে একা’ নাটক ও নার্গিস আক্তারের পরিচালনায় ‘নন্দিনী’ নামে একটি টেলিছবিসহ বেশ কয়েকটি কাজ করেছি।
নন্দিনীর গল্প কী নিয়ে?
নন্দিনী একজন সিনেমার নায়িকা। এখানে আমাকে দেখা যাবে নন্দিনীর চরিত্রে। স্ট্ক্রিপ্ট রাইটারের প্রেমে পড়ে মেয়েটি। সাধারণ জীবন যাপন তার। এটা প্রেমেরই গল্প।
শুনেছি, বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন?
হ্যাঁ, অনেক দিন পর ইনফিনিটি মেগা মল-এর অনলাইন বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি। এটি অনলাইনের জন্য প্রথম বিজ্ঞাপন। দীর্ঘ বিরতির পর অনলাইনের বিজ্ঞাপন দিয়ে এই ভুবনে ফিরতে পেরে ভালোই লাগছে।
অভিনয়, উপস্থাপনার পাশাপাশি গানের স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। এটা কি একান্তই ভালো লাগা থেকে?
কৈশোরেই গানের স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেছিলাম, যখন আমি ক্লাস সিক্সে পড়ি। বাবাও ছেলেমেয়েদের গান শেখাতেন। যখন তিনি ব্যস্ত থাকতেন, তখন আমাকে শেখানোর দায়িত্ব দিতেন। এভাবেই শুরু। গত বছর থেকে মিমি আপার গানের স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেছিলাম। ছেড়ে দিয়ে এখন বাবার স্কুলে শিক্ষকতা করছি। আনন্দম সঙ্গীতাঙ্গন স্কুলে প্রতি শুক্রবার ক্লাস নিই। শিশুদের শেখানোর মধ্যে অন্য রকম আনন্দ খুঁজে পাই।