রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েও ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন ৪৩ জন শিক্ষার্থী। এদের সবাই পোষ্য কোটায় ভর্তি হয়েছেন বলে জানা যায়। পোষ্য কোটায় ভর্তিকৃত সকল শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের সন্তান।
গত বছরের অক্টোবরের ২১ ও ২২তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট ৩ টি ইউনিটে ৪ হাজার ৭১৩টি আসনের বিপরীতে ৭৮ হাজার ৯০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
বিষয়টি সম্পর্কে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটির প্রধান প্রফেসর ড. মো. আহসান কবির বলেন, এটা তো বরাবরই হয়ে আসছে। এটা ভর্তি পরীক্ষার মূল কমিটিতে উপাচার্য স্যারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হয়েছে। আমাদের আসন সংখ্যার শতকরা ৫ ভাগ পোষ্য কোটা ভর্তি করা হয়। ফলাফল প্রকাশ পাওয়ার পর দেখা যায় ওই আসন সংখ্যার বিপরীতে থাকা শিক্ষার্থীরা পাশ নম্বর তুলতে পারেনি। পরবর্তীতে আসন শূন্য থাকার পরিপ্রেক্ষিতে মিটিং ডেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই আসনগুলো পূরণ করা হবে। এখানে অনিয়মের কিছু হয়নি
এ বিষয়টি নিয়ে অবশ্য ‘সি’ ইউনিটির ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রধান ড.মো.এক্রামুল হামিদ হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, সবচেয়ে মেধাবীদের মূল্যায়নের জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু কোটার নামে উচ্চ শিক্ষার এই প্রতিষ্ঠানে ফেল করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা উচিত হয়নি। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দুঃখজনক।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের শিক্ষক ড. আকতার বানু বলেন, এটা চরম অন্যায় কাজ। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এরকম হলে ভর্তি পরীক্ষা দরকার কী? তাদের এমনিতেই ভর্তি করা হোক। যারা এ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ