অনলাইন ডেস্ক : পশ্চিমা রগরগে সেলিব্রেটি কিম কারদাশিয়ান ওয়েস্ট। তার শরীর প্রদর্শন, স্বল্প বসন, জনগণের ভাবনাকে তোয়াক্কা না করা- এ যেন এক নিত্যনিয়মিত ব্যাপার। তাছাড়া তার রগরগে ভিডিওতে সয়লাব ইন্টারনেট দুনিয়া। সেই কিম কারদাশিয়ান এবার ছুটে গেলেন হোয়াইট হাউসে। উদ্দেশ্য প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত। হ্যাঁ, সাক্ষাত হয়েও গেল।
কিন্তু এমন একজন আবেদনময়ী হোয়াইট হাউসে কেন? এ প্রশ্ন ঘুরতে থাকে সবার মনে মনে। উত্তরও মিলে যায়। মিডিয়ার খবরে বলা হয়, কিম কারদাশিয়ানের একজন গ্রান্ডমাদার রয়েছেন জেলে। তাকে মুক্ত করার মানসেই তিনি ট্রাম্প সাক্ষাতে গিয়েছেন। তার ওই গ্রান্ডমাদারের বয়স ৬২ বছর। নাম অ্যালিস মেরি জনসন। মাদকের ভয়াবহ অভিযোগে তিনি যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত। দু’দশকের বেশি সময় হয়ে গেছে তিনি জেলে। এ মামলা নিয়ে কিম কারদাশিয়ানের সঙ্গে কয়েক মাস ধরে কথা বলছিলেন ট্রাম্পের জামাই জারেড কুশনার। অবশেষে কিম কারদাশিয়ান সাক্ষাত পেলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের। ওই সাক্ষাত সম্পর্কে ট্রাম্প পরে একটি টুইট করেছেন। লিখেছেন, ওই সাক্ষাতটা ছিল একটি ‘গ্রেট মিটিং’। তার টুইটটি এরকম ‘গ্রেট মিটিং উইথ কিম কারদাশিয়ান। আমরা কথা বলেছিছ জেল সংস্কার ও শাস্তি দেয়া নিয়ে’। অ্যালিস মেরি জনসনের মাদকের বিষয়টি প্রথম ধরা পরে একটি রিয়েলিটি টেলিভিশন তারকার চোখে। ওই তারকা একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যরে ভিডিও দেখতে পান। তাতেই বেরিয়ে আসে সব ক্লু। শেষ পর্যন্ত এতে ধরা পড়ে যান জনসন। অবশেষে তাকে মুক্ত করার জন্য উদ্যোগী হন কারদাশিয়ান। তিনি তার দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত আইনজীবী শন হলির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাকে জনসনের মামলাটি নাড়াচাড়া করে দেখতে বলেন এবং নতুন আইনজীবীদের একটি টিম করেন। ওদিকে জারেড কুশনারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন কারদাশিয়ান। জারেড কুশনার যুক্তরাষ্ট্রে আইন সংশোধনের চেষ্টা করছেন। এ জন্য তিনি ফার্স্ট স্টেপ অ্যাক্ট নামে একটি আইন সামনে এনেছেন। এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে আনার পর গত সপ্তাহে তা পাস হয়েছে। এ আইনের অধীনে বন্দিদের পুনর্বাসনের জন্য ৫ কোটি ডলার বরাদ্দ দেয়া হয়। তবে অ্যালিস মেরি জনসনের বিষয়টি গতি পেতে থাকে যখন এর সঙ্গে যুক্ত হন কিম কারদাশিয়ান। উল্লেখ্য, কোন প্যারেল ছাড়া ১৯৯৬ সাল থেকে জেলে বন্দি অ্যালিস মেরি জনসন। সেখানে তিনি ভাল আচরণ করছেন। বিভিন্ন কর্মকান্ডে তিনি সক্রিয়। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ২০১৪ সালের ক্লিমেন্সি প্রজেক্টের সবটা ধারা অনুসরণ করছেন তিনি।