লিটন হোসেন লিমন, নাটোর প্রতিনিধি :
নাটোরের গুরুদাসপুরের হাট-বাজার গুলো একটু বৃষ্টি হলেই যেন জলাশয়ে পরিনত হয়। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারনে এই জলবন্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। হাটে আসা মানুষরা জানান, লাখ লাখ টাকার টোল আদায় করা হলেও হাট-বাজার উন্নয়নের নজর নেই সংশ্লিষ্টদের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার নয়াবাজার, নাজিরপুর, কাছিকাটা, বিন্যাবাড়ী, শাহীবাজার হাটসহ এলাকার বিভিন্ন হাট একটু বৃষ্টিতেই জলাশয়ে রুপ নেয়। অপরিকল্পিত হাটের উন্নয়ন কর্মকান্ড, হাটের প্রত্যেকটি রাস্তা বা গলির দুইপাশে দোকান মালিকরা তাদের ইচ্ছেমতো পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না রেখেই দোকান ঘর বা গদি ঘর নির্মান করেছেন। ফলে কোনোরুপ নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে উপজেলা পরিষদ অথবা ইউনিয়ন পরিষদ কোন কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহন করছে না বলে স্থানীয়রা জানান। স্থানীয় ধারাবারিষা ইউনিয়নের নয়াবাজার হাটের আড়তদার বাচ্চু, মান্নান, কাসেম, মতিন শাহ, রজিব শাহ, রাজ্জাক আকন্দ, আকতার আকন্দসহ অনেকের সাথে কথা বললে তারা জানান, এধরনের জলাবদ্ধতার কারণে হাটে কৃষক তাদের কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য আনতে পারছেনা। ফলে আর্থিকভাবে ব্যবসায়ীদের পাশা-পাশি কৃষকদেরও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আর যারা পণ্য বিক্রি করতে আসছে তাদেরকেও পড়তে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে। হাটের শ্রমিক আবু বক্কার জানান, রসুনের বস্তা মাথায় নিয়ে ওই পানির মধ্যে পড়ে মাজায় আঘাত পেয়েছেন। কৃষক তার উৎপাদিত পণ্য না নিয়ে আসায় তাদের আয় কমে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে পরিবার-পরিজন নিয়ে নাখেয়ে থাকতে হবে। ভিটাকাজিপুর রসুন বিক্রি করতে আসা আব্দুল বারী জানান, একদিকে রসুনের দরপতন আবার অন্য দিকে হাটে জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতার কারনে হাটে রসুন নামাতেই পারে নাই তিনি। বাধ্য হয়ে ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন। নয়াবাজার হাটের একাধিক আড়তদার জানান জানান, বুষ্টির কারনে অনেক বেপারী না আসায় রসুনের দাম আরো কম হয়েছে। নয়াবাজার হাটের রসুন ব্যবসায়ী ময়সার আলী জানান, বৃষ্টির পানি আটকে তার গদি ঘরে উঠেছে। অনেক রসুন ভিজে গেছে। ফলে তিনি রসুন কিনছেন না। হাটের ইজারাদার শহিদুল ইসলাম জানান, রসুন ক্রেতা-বিক্রেতা যদি হাটে না আসে তাহলে আর্থিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হবে। তিনি দ্রুত পানি নিস্কাশনের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কষন করেন। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ মনির হোসেন বলেন, সরেজমিন গিয়ে জলাবদ্ধতা নিস্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।