সিলেটের টিলাগড়ে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রের (ইকোপার্ক) ৩৩ পশুপাখির মৃত্যুর বিষয়ে অনুসন্ধান প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ নিয়ে একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
গত বুধবার একটি ইংরেজি দৈনিকে ‘সিলেট বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র যেন কনডেম সেল’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মনোজ কুমার ভৌমিক। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সিলেটের টিলাগড় ইকোপার্ক প্রাণীদের জন্য এক ভয়ংকর মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বন বিভাগের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক মাসে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রটিতে কমপক্ষে ৩৩টি প্রাণী ও পাখি মারা গেছে।
ব্যারিস্টার মনোজ সমকালকে বলেন, ৩৩ পশুপাখির মৃত্যুর বিষয়ে ইকোপার্কের ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান তানহা এন্টারপ্রাইজের দায়সারা পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ দায়ী কিনা, তার অনুসন্ধান প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট। রুলে সিলেটের টিলাগড়ে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রের (সিলেট ইকোপার্ক) ৩৩ পশুপাখির জীবন রক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি, আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক, পশুসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, উপ-বন সংরক্ষক ও তানহা এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সংরক্ষণ কেন্দ্রটি নিরাপদ করার পাশাপাশি পশুপাখিদের জীবন রক্ষায় কেন্দ্রটির পশু হাসপাতালে পর্যাপ্ত পশু চিকিৎসক ও নার্সদের নিয়ে দ্রুত একটি ইউনিট স্থাপনেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।