বর্তমানে মুম্বাইয়ের কান্দিভালীতে মাত্র ২২৫ বর্গমিটারের এক বাসায় থাকেন রাঁধার বাবা-মা। এখানে বড় হয়েছেন রাঁধা নিজেও। তবে প্রাদেশিক দলে সুযোগ করে নেয়ার জন্য বছর পাঁচেক আগে বারোদায় চলে আসেন তিনি। এরপর থেকে সেখানেই বসবাস করছেন রাঁধা।
বাসার সামনের গলিতে টেনিস বলে ছেলেদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলার সময় প্রফুল নায়েকের চোখে পড়েন রাঁধা। পেশাদার ক্রিকেট কোচ নায়েক হীরা চিনতে ভুল করেননি। তবে কোচের খরচ যোগানোর অবস্থা ছিল না রাঁধার বাবা ওমপ্রকাশের। এসময় কোনো খরচ ছাড়াই রাঁধাকে ক্রিকেট শেখাতে রাজি হয়ে যান নায়েক। তার হাত ধরেই এগোতে থাকেন এ নারী ক্রিকেটার।
শনিবার মেলবোর্নে শ্রীলংকার ব্যাটিং টপ অর্ডার একাই গুঁড়িয়ে দেন রাঁধা যাদব। ম্যাচে ২৩ রান খরচায় তিনি শিকার করেন ৪ উইকেট। তারপরই মূলত আলোচনায় উঠে আসেন ৩৪ টি-টোয়েন্টিতে ৪৮ উইকেট শিকার করা এ স্পিনার।
একসময় ঠিকমতো খাবার যোগাতে হিমশিম যোগাতেন রাঁধার বাবা। কখনো কখনো এক বেলা না খেয়ে মেয়ের ক্রিকেটের সরঞ্জামের খরচ যোগাতেন তিনি। আর বর্তমানে বি গ্রেডের চুক্তিভূক্ত খেলোয়াড় হিসেবে ৩০ লাখ রুপি বেতন পান রাঁধা। এ টাকায় এরই মধ্যে বারোদায় একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন তিনি।
বড় হলেও বাবা-মায়ের অবদান ভোলেননি রাঁধা। তাই বাবাকে আর দুধ বিক্রি করতে না দিয়ে নিজের বাসায় এনে রাখতে চান তিনি। তবে বাবা ওমপ্রকাশ বসে থাকতে চান না বিধায় এরইমধ্যে তাকে একটি সবজির দোকান করে দিয়েছে দুই বোনের মধ্যে ছোট মেয়েটি।