ক্রিকেট, ভারত, কোহলি

প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য ছিল ৯ রান। যেটা টম লাথাম, ব্লানডেল মাত্র ১০ বলে পার করেন। দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সামনে অপেক্ষাকৃত বড় লক্ষ্য, ১৩২, ৩ উইকেট হারিয়ে।

দ্বিতীয় টেস্টে নিউজিল্যান্ড জয় পায় মাত্র আড়াই দিনে, প্রথম টেস্ট গড়িয়েছিল চারদিনে।

এই টেস্ট সিরিজে ভারতের ব্যাটিংয়ের অবস্থা ছিল করুণ। একই সাথে অধিনায়ক ভিরাট কোহলিরও।

এই সিরিজে প্রতি ১৮ রানে একটি উইকেট হারিয়েছে ভারত।

এই সিরিজে কোনো ভারতীয় ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করতে পারেনি। শেষবার কোনো সিরিজে সেঞ্চুরি পায়নি ভারত ২০০২-০৩ সালে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে।

ভারত শেষবার ২০১১-১২ মৌসুমে দুই বা তার চেয়ে বেশি ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।

ভিরাট কোহলির অধীনে এবারই প্রথম হোয়াইটওয়াশ হলো ভারত।

এই সিরিজে কোহলির ব্যাটিং গড় ছিল সাড়ে নয়। এর আগে ২০১৬-১৭ মৌসুমে বর্ডার গাভাস্কার ট্রফিতে কোহলি ৯.২০ গড়ে ব্যাট করেছিলেন। সেবার করেছিলেন পাঁচ ইনিংসে ৪৬ রান।

মোট ১১টি ইনিংস ব্যাট করে কোহলি ২১৮ রান তোলেন।

এই সিরিজে ভারতের সর্বোচ্চ এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সংগ্রহ মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ৫৮। যেটা ভারতের ইতিহাসে সর্বনিম্ন সর্বোচ্চ স্কোর কোনো টেস্ট সিরিজে।

ভারতের এই অবস্থার পেছনে আপাত দৃষ্টিতে সবচেয়ে বড় কারণ মনে করা হচ্ছে ভিরাট কোহলির ফর্মে না থাকা।

কোহলি টি টোয়েন্টি বা ওয়ানডে ফরম্যাটেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি ব্যাট হাতে।

নিউজিল্যান্ডের পেস বোলারদের ইন সুইং তাকে বেশ ভুগিয়েছে।

এই সিরিজে প্রথম টেস্ট খেলতে নামা জেমিসন তাকে আউট করেছেন প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই। কাইল জেমিসনের প্রথম টেস্ট উইকেট ভিরাট কোহলির।

এছাড়া কোহলি টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, চারজন পৃথক বোলারের বলে আউট হয়েছেন দুই টেস্টে, যার মধ্যে দুইবার এলবিডব্লিউ হয়েছেন।

এবারে ভারতের ওপেনিং জুটি ক্লিক করেনি, যার ফলে কোনো ভিত্তি পায়নি ব্যাটিং লাইন আপ।

এছাড়া টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম সেরা দুই ব্যাটসম্যান চেতেশ্বর পুজারা ও আজিঙ্কা রাহানে।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের রানের হিসেব করলে আগারওয়াল, রাহানে ও কোহলি তিনজনই সেরা দশের মধ্যে আছেন রান সংগ্রাহকদের তালিকায়।

কিন্তু এই সিরিজে নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট বোলিংয়ের সামনে কেউই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি।

৪ ইনিংস ব্যাট করে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০২ রান করেছেন আগারওয়াল, পুজারা করেছেন ১০০, পৃথ্বী শ করেছেন ৯৮।

ভিরাট কোহলি ট্রেন্ট বোল্ট, এমনকি মোহাম্মদ শামির চেয়েও কম রান তুলেছেন।

টিম সাউদি ৪ ইনিংসে ১৪ উইকেট নিয়েছেন এই টেস্ট সিরিজে।

ট্রেন্ট বোল্ট নিয়েছেন ১১ উইকেট।

জসপ্রিত বুমরাহ ৪ ইনিংসে নিয়েছেন ছয়টি উইকেট।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হবার পর ভারত হারেনি কখনোই।

৯ ম্যাচে ৭ জয়, এই সিরিজেই দুটো হার।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এক নম্বরে থাকা ভারতের পয়েন্ট ৩৬০, দুই নম্বরে থাকা অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ২৯৬, নিউজিল্যান্ড আছে তিন নম্বরে তাদের পয়েন্ট ১৮০।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সবার নিচে আছে বাংলাদেগশ। তিন টেস্টের তিনটিতেই হেরে কোনো পয়েন্ট পায়নি বাংলাদেশ।