আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এক নারীসহ ৫ সদস্য ও উদ্ধারকৃত মালামাল- ডেইলি বাংলাদেশ

গ্রেফতারকৃতরা হলো- অলিউল ইসলাম ওরফে সম্রাট ওরফে আব্দুল্লাহ্ আব্দুল্লাহ (২৩), মো. মোয়াজ্জিম মিয়া ওরফে শিহাদ ওরফে আল্লাহর গোলাম (২০), মো. সবুজ হোসেন ওরফে আব্দুল্লাহ ওরফে আব্দুল্লাহ এবাজ উদ্দিন (২৬) মো. আরিফুল হক ওরফে আরিফ ওরফে হৃদয় ওরফে গাজওয়াতুল হিন্দ ওরফে জান্নাতের সবুজ পাখি (২০) ও রাশিদা ওরফে হুমায়রা ওরফে ইনশাআল্লাহ আমি মুজাহিদা (৩৩)।

শনিবার র‌্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত অলিউল ইসলাম জামিনে বের হয়ে পুনরায় জঙ্গি কাজে লিপ্ত হয়। তিনি ২০১৯ সালে আশুলিয়া থানায় সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় দুই মাস কারাভোগ করেন। জেলখানায় থাকতেই তিনি দুর্ধর্ষ জঙ্গিদের সংস্পর্শে আসেন। তাদের কাছ থেকে জঙ্গি কার্যক্রমের আরো দিকনির্দেশনা পান। তার ব্যবহৃত মোবাইল থেকে বিভিন্ন উগ্রবাদী ডিজিটাল কন্টেন্ট পাওয়া গেছে।

গ্রেফতারকৃত মো. মোয়াজ্জিম মিয়া ছাত্র জীবন থেকে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রমে আকৃষ্ট হন। ফেসবুকে আনাস আদনান নূর নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। বর্তমানে তিনি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের একজন সক্রিয় সদস্য। অনালাইন মোবাইল মানি ট্রান্সফারের মাধ্যমে তিনি চাঁদা সংগ্রহ করতেন। তার কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের রেজিস্ট্রার খাতা উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে সাভারের একটি মাদরাসায় তিনি শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তাো অনলাইন গ্রুপের মাধ্যমে পরিচয় হয়।

এইচএসসি পাশ সবুজ বর্তমানে সাভারে একটি মোবাইলের দোকানে কাজ করে। স্থানীয় মাদরাসার শিক্ষক মো. মোয়াজ্জিম মিয়া ওরফে শিহাদ (২০) এর সরাসরি সংস্পর্শে উদ্ধুদ্ধ হয়ে তিনি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। 

মো. আরিফুল হক একটি গার্মেন্টসে কর্মরত। তিনিও মোয়াজ্জিম মিয়ার মাধ্যমে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। 

মাদরাসার সাবেক ছাত্রী দুই সন্তানের মা রাশিদার বিবাহ বিচ্ছেদের পর ২০১৪ সালে দুবাই যান। দুবাই থেকে এসে ২০১৭ সালে কাতার যান সেখানে থাকা অবস্থাতেই মো. মোয়াজ্জিম মিয়ার ফেসবুক আইডির মাধ্যমে তিনি জঙ্গিবাদে জড়ান।