অনলাইন ডেস্ক :
ইরানের বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে স্পুটনিক জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে তিনি জনসমক্ষে আসছেন না।
গত মাসের ওই ঘটনাটি অভ্যুত্থানের ঘটনা ছিল দাবি করে বলা হয়েছে, যে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছিল তখন ক্রাউন প্রিন্স নিহত হয়ে থাকতে পারেন।
ইরানি মিডিয়া প্রেসটিভি ও ফার্সি মিডিয়া, ফার্স ও খিহানের উল্লেখ করে স্পুটনিক বলছে, অভ্যুত্থানের সময় সৌদি বাদশাহ সালমান একটি সামরিক বাঙ্কারে আশ্রয় নেন।
এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে অভ্যুত্থানকারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
(রাশিয়ার সংবাদ মাধ্যম স্পুটনিক নিউজে প্রকাশিত খবরের চিত্র)
তবে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ তখন জানিয়েছিল, রাজপ্রাসাদের কাছে একটি ড্রোন উড়তে দেখে তা গুলি করে নামানো হয়। ওই সময় ক্রাউন প্রিন্সকে একটি মার্কিন ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানানো হয়।
(রাজপ্রাসাদের সামনে গোলাগুলির দৃশ্য)
স্পুটনিকের খবরে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্র অন্য একটি দেশকে জানিয়েছেন যে, ওই রাতে গোলাগুলির সময় ক্রাউন প্রিন্সের গায়ে দুটি গুলি লাগে। কিন্তু তার পরে তার ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা ওই সূত্রটি জানাতে পারেনি।
(দ্য ফ্রন্টিয়ারে প্রকাশিত খবর)
তবে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স সাধারণত প্রায়ই গণমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হয়ে থাকেন। কিন্তু দীর্ঘ ২৭ দিন তিনি গণমাধ্যমের সামনে আসছেন না। এ কারণে তার মৃত্যুর গুজব নানা ডালপালা মেলছে।
এছাড়া গত মাসের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সৌদি আরব সফরের সময়ও ক্রাউন প্রিন্সকে দেখা যায়নি। এসব ব্যাপারে সৌদি কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো ধরনের মন্তব্য করেননি