দর্পণ ডেস্ক : ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার রাহাতের অপমৃত্যুর মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন ।

সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলামের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন মতিউর রহমান। তার পক্ষে এহেসানুল হক সমাজী, প্রশান্ত কর্মকার, চৈতন্য হাওলাদার প্রমুখ আইনজীবী শুনানি করেন।

শুনানি শেষে আদালত ২ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিনের আদেশ দেন।

গত ১৬ জানুয়ারি মতিউর রহমান, আনিসুল হকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গত ২০ জানুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে ৪ সপ্তাহের জামিন পান মতিউর রহমান। জামিনের মেয়াদ শেষ হতে যাওয়ায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন মতিউর রহমান।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১ নভেম্বর মোহাম্মদপুরে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় আবরার। মহাখালীর ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল প্রথম আলোর কিশোর সাময়িকী কিশোর আলো। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান কিশোর আলোরও প্রকাশক; আর কিশোর আলোর সম্পাদক হলেন আনিসুল হক।

৬ নভেম্বর আবরারের বাবা মো. মুজিবুর রহমান প্রথম আলো সম্পাদকসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
মামলায় মুজিবুর রহমান অভিযোগ করেন, ‘১ নভেম্বর তার ছেলে নাইমুল আবরার রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে কিশোরদের ম্যাগাজিন কিশোর আলোর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়।’

আদালত সেদিন নালিশি মামলাটি আমলে নিয়ে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন।

প্রতিবেদনে মতিউর রহমান ও আনিসুল হক ছাড়াও এ ঘটনার জন্য দায়ী করা হয় কবির বকুল, শুভাশিস প্রামাণিক শুভ, মুহিতুল আলম, শাহপরাণ তুষার, জসিম উদ্দিন তপু, মোশারফ হোসেন, মো. সুমন ও কামরুল হাওলাদারকে।